বুরারির ছায়া দিল্লির ভজনপুরায়, বাড়ি থেকে উদ্ধার পরিবারের পাঁচ সদস্যের পচাগলা দেহ
বুরারির ছায়া দিল্লির ভজনপুরায়, বাড়ি থেকে উদ্ধার পরিবারের পাঁচ সদস্যের পচাগলা দেহ
দিল্লির একটি বাড়ি থেকে একসঙ্গে পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেল। বুধবার ভজনপুরা এলাকার একটি বাড়ি থেকে পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশিরাই পুলিশকে খবর দেন। পচাগলা অবস্থায় দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর–পূর্ব দিল্লির ডিসিপি জানিয়েছেন, স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের তিন সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভজনপুরের সি ব্লকের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেহগুলি। এই বাড়িতে কিছুদিন আগেই এসেছিলেন ওই পরিবারটি। মৃতদের নাম শম্ভুনাথ (৪৩), সুনিতা (৩৮), মেয়ে কবিতা (১৬) এবং দুই ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, শম্ভু ই–রিকশা চালাতেন। বাড়িটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশ এসে তালা ভেঙে বাড়ির ভেতর ঢোকে। গৃহকর্তা পরিবারের সবাইকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ। ভজনপুরায় যে এলাকায় বাড়ির ভেতর থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেটি অত্যন্ত ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। মৃতদেহগুলির অবস্থা দেখে পুলিশের অনুমান যে অন্তত চার থেকে পাঁচদিন আগে তাঁদের মৃত্যু ঘটেছে।
যদিও পুলিশ এখনও এটা আত্মহত্যা না খুন তা নিশ্চিত করে বলেনি। সবই অনুমান করেছে। পুলিশ সব দিকই খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার পেছনে কোনও আধ্যাত্মিক রীতি রয়েছে কিনা তাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বুরারিতে গণ আত্মহত্যার সাক্ষী থেকেছে দিল্লিবাসী। এই ঘটনায় পরিবারের ১১ জন সদস্যই আত্মহত্যা করেছিল। পুলিশি রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে বুরারির চাঁদওয়াত পরিবার কারোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং তারা কালো যাদুও করত। প্রতিবেশিদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে এই পরিবার 'বধ পুজো’ নামে এক রীতি পালন করত, যেখানে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের লোহার জাল দিয়ে বেধে রাখত। তবে তাদের মরার কোনও ইচ্ছা ছিল না। পরিবারের ছেলে ললিতের কথাতে বিশ্বাস করে সকলে আত্মহত্যা করেছিল।