মহাশূন্যে প্রাচীনতম সৌরজগৎ আবিষ্কার, নিভে যেতে বসেছে নক্ষত্রের শেষ শিখাটিও
মহাশূন্যে প্রাচীনতম সৌরজগৎ আবিষ্কার, নিভে যেতে বসেছে নক্ষত্রের শেষ শিখাটিও
মহাশূন্যে সম্প্রতি হদিশ মিলেছে প্রাচীনতম সৌরজগতের। সেই সৌরজগতের বামন নক্ষত্রের জ্যোতি ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসছে। নিভে যেতে বসেছে নক্ষত্রের শেষ শিখা। অর্থাৎ মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে পুরো সৌরজগৎটিই। এই সৌরজগৎটিকে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবথকে প্রাচীন সৌরজগৎ বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
মহাবিশ্বে কতকিছুন না লুকিয়ে রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তার সিকিভাগেরও হদিশ পায়নি। তবে থেমে নেই চেষ্টা। প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বের নানা মহাজাগতিক ঘটনা সামনে আসছে। প্রতি আবিষ্কারেই থাকছে চমক। মহাশূন্য অত্যাধুনিক মহাকাশযান, টেলিস্কোপ, ক্যামেরা পাঠিয়ে পৃথিবী থেকে তা পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রতিনিয়ত মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানার মধ্যেই সম্প্রতি যে নয়া আবিষ্কার সামনে এল, তাতে আরও একটা সৌরজগতের হদিশ মিলল। আমাদের সৌর জগতের মতোই মহাশূন্যের আর এক সৌরজগৎ। সেখানেও রয়েছে বামন নক্ষত্র, রয়েছে গ্রহের সমাবেশ। কিন্তু সেই সৌরজগৎ ক্রমেই অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। তার জ্যোতি ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ফলে সেই সৌরজগৎ মৃতপ্রায়।
আমাদের সৌরজগৎ থেকে যেদিন সূর্যের আলো ক্ষীণ হয়ে যাবে, তখন যেমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে, তেমনই অবস্থায় এখন রয়েছে নয়া আবিষ্কৃত প্রাচীনতন সৌরজগৎ। সৌরজগতের অবশিষ্টাংশের দেখা মিলেছে। পৃথিবী থেকে মাত্র ৯০ আলেকবর্ষ দূরে তার অবস্থান। ১৩৭০ কোটি বছরেরও আগে থেকে রয়েছে ওই সৌরজগৎ।
সেখানে টিম টিম করে জ্বলছে বামন নক্ষত্রটি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ওই নক্ষত্রটি মহাশূন্যে তাঁকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে জড়ো করে পাথুরে এবং তুষারাবৃত একটি গ্রহমণ্ডলে পরিণত করে ফেলেছে। আকাশগঙ্গা ছায়াপথে সবথেকে প্রাচন সৌরজগৎ এটি। এই সৌরজগতে বামনাকৃতির একটি নক্ষত্র এখনও জ্বলছে।
তবে ওই নক্ষত্রটির জ্যোতি নিস্তেজ হয়ে আসছে ক্রমশ। আর গ্রহমণ্ডল ওই বামনাকৃতি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। তার বয়স কমপক্ষে হাজার কোটি বছর হবে বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নক্ষত্রটির জ্বালানি প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। বাইরের আবরণ খসে পড়তে শুরু করেছে। ঠান্ডা হয়ে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে সেটি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আমাদের সূর্যেরও একদিন এমন পরিস্থিতি আসবে। সে ক্ষেত্রে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলা গ্রহগুলি এক জায়গায় জড়ো হয়ে গ্রহমণ্ডলে পরিণত হবে, তারপর তা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিশে নয়া এই আবিষ্কার সম্পর্কে বিশদ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নজরদারিতেই বিষয়টি ধরা পড়েছে।
মোট দুটি বামনাকৃতি নক্ষত্রের হদিশ মিলেছে ওই সৌরজগতে। একটি নীল রঙের নক্ষত্র, অন্যটি লাল রঙের। ওই দুই নক্ষত্রের নামও রাখা হয়েছে। নীল রঙের নক্ষত্রটির নাম ডব্লুডিজে১৯৯২+০২৩৩, লাল রঙের নক্ষত্রটির নাম হল ডব্লুডিজে২১৪৭-৪০৩৫।
পৃথিবী থেকে যদি অক্সিজেন নিঃশেষ হয়ে যায়! এমনই ঘটেছিল ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে