শুভেন্দুর প্রসঙ্গ উঠতেই থামল বৈঠক! শুরু থেকেই 'ঘরের ছেলে'কে কড়া প্রশ্নের হাত থেকে আগলে রাখলেন দিদি
মুকুল রায়কে দলে ফেরত নিলেও গদ্দারদের কিছুতেই নেবেন না। সাংবাদিক বৈঠক শুরু হতেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনও একবার শুভেন্দুকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কার্য
মুকুল রায়কে দলে ফেরত নিলেও গদ্দারদের কিছুতেই নেবেন না। সাংবাদিক বৈঠক শুরু হতেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনও একবার শুভেন্দুকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কার্যত কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের এক সাংবাদিক শুভেন্দুকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই এক ঝটকায় সাংবাদিক বৈঠকে দাঁড়ি টানেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আকারে ইঙ্গিতে বস্তুত বুঝিয়ে দেন, তিনি কতটা তিতিবিরক্ত দলের এই প্রাক্তন নেতার উপর।
সাড়ে তিন বছর পর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়। সঙ্গে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বাকিরা উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই মমতা বলেন, ঘরের ছেলেই ছিল ঘরে ফিরল। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে বলেন মমতা। কখনও হালকা আবার কখনও বেশ কঠিন প্রশ্নই ধেয়ে আসছিল মুকুলের কাছ। প্রশ্ন আসছিল মমতার কাছে। অনেক ক্ষেত্রেই যা শুনে মেজাজ হারাচ্ছিলেন নেত্রী। বারবার সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, এটা তৃণমূল ভবণ।
প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে কার্যত সাবধান হতে বলছিলেন নেত্রী। কিন্তু এরপরেও নারদা সহ একাধিক প্রশ্ন মুকুলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। যা অনেকটাই সামলাতে দেখা গিয়েছে খোদ নেত্রীকেই। যেমন নারদ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মমতা বলেণ, বিজেপি কোনও সাধারণ দল নয়। এজেন্সিগুলি ওদের মুখপাত্র। ফলে এই সব প্রশ্ন করার কোনও মানেই হয়না বলে দাবি নেত্রী মমতার।
এক সাংবাদিক মুকুলকে প্রশ্ন করেন, "আপনি তৃণমূল ছাড়ার সময় অনেকে দল ছেড়ে গিয়েছিল। আজ আপনি ঘরে ফিরলেন। আপনার সঙ্গে আর কে কে আসবে?" মুকুল জবাবে বলেন, "আমাদের সেটা দেখতে হবে।"
এর পরেই মুকুলের উদ্দেশে প্রশ্ন আসে, "শুভেন্দু অধিকারীর ভাষার প্রয়োগ..."। প্রশ্নটা শেষ করা যায়নি। মুকুল কিছু একটা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর নামটা উচ্চারিত হতেই সটান উঠে দাঁড়ান মমতা।
বলেন, "দ্য প্রেস কনফারেন্স ইজ় ওভার নাউ।" অর্থাৎ, সাংবাদিক বৈঠক এখন শেষ হল। মমতার এই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া চমকপ্রদ হলেও অপ্রত্যাশিত একেবারেই নয়। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে যে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না নেত্রী মমতা তা কার্যত স্পষ্ট ছিল এদিনের বৈঠকের।
অন্যদিকে মুকুল রায় প্রসঙ্গে প্রথম দিন থেকেই বেশ নরম ছিলেণ মমতা। আর তাই ভোটের সময়েই শুনতে শোনা যায় যে, ও ভালো ছেলে...শুভেন্দুর মতো এতটা খারাপ না। এরপর মুকুল রায়ের স্ত্রীয়ের অবস্থা শুনেই খোঁজ নিয়েছেন মমতা। আজও ভবনে মুকুলের প্রতি যে কিছুটা হলেও নরম সেই বার্তাই দিয়েছেন।
বক্তব্যের শুরু থেকেই মুকুলকে ঘরের ছেলে বলেছেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের কড়া প্রশ্নের হাত থেকে মুকুলকে বাঁচিয়েও রেখেছিলেন নেত্রী মমতা।