কৃষকদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ, এখনও পর্যন্ত সরকার ২২ শতাংশ ধান সংগ্রহ করেছে
কৃষকদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ, এখনও পর্যন্ত সরকার ২২ শতাংশ ধান সংগ্রহ করেছে
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগ কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যের কৃষকদের থেকে সরকার ২২ শতাংশ ধান সংগ্রহ করেছে। জানা গিয়েছে, ধান ক্রয়ের পদ্ধতিতে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় কৃষকরা সরকারকে ধান বিক্রি করতে অস্বীকার করেছে।
ধান সংগ্রহে রাজ্য সরকারের ত্রুটি
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষণা করেছিল যে চলতি মরশুমেই রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার। এই ৫২ লক্ষ মেট্রিক টনের বাইরেও, সরকার জানিয়েছিল যে ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান তারা কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনবে। বাকি ২৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশনের (নাফেড) মতো সমবায় থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় বিপণন ফেডারেশন লিমিটেড (বেনফেড) এবং পশ্চিমবঙ্গ উপভোক্তা সমবায় ফেডারেশন (কনফেড)। সর্বনিম্ন সহায়তা মূল্য (এমএসপি) হিসাবে প্রতি কুইন্টাল ১,৮১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের বাইরে অধিকাংশ চাষি
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সহায়তায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা তাদের নথিভুক্ত করে এবং সহজেই সরকারের কাছে শস্য বিক্রি করতে পারে। তবে রাজ্যের বেশিরভাগ চাষি এই প্রকল্পের আওতায় নেই। সুতরাং, সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পেতে হলে, এই কৃষকদের প্রথমে নিবন্ধন করার দীর্ঘ প্রক্রিয়াটি করতে হবে এবং কেবল তখনই তারা এমএসপির জন্য তাদের পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হবে। উপরন্তু সরকার কৃষকদের নগদ অর্থ প্রদান করে না। তাঁদের কেন্দ্র থেকে চেক নিয়ে আসতে হয় এবং ব্যাঙ্কে জমা করার পর তবে কৃষকরা হাতে টাকা পান। এর ফলে তাদের মূল্যবান সময় এবং সংস্থান নষ্ট হয়, এ কারণেই কৃষকরা তাদের পণ্য সরকারের কাছে বিক্রি করতে নারাজ। ফলস্বরূপ ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ ধান কৃশকদের কাছ থেকে সরাসরি কিনতে সফল হয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষে রাজ্য সরকার ১২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছিল। ২০১৯ সালে তার পরিমাণ ছিল এক লক্ষ মেট্রিক টন।
দুই জেলায় সবচেয়ে বেশি ধানচাষ
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি কৃষক রয়েছেন অথচ মাত্র ৫৫ হাজার কৃষকের নাম রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে। এখান থেকে এক লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। একইভাবে হুগলিতেও সবচেয়ে বেশি ধানচাষ হয়। অথচ ৩৮ হাজার কৃষক নথিভুক্ত সরকারি খাতায় এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরকার সংগ্রহ করতে পেরেছে।
গত তিন বছরের মধ্যে এফএমসিজি শিল্প প্রবৃদ্ধি সর্বাধিক কমলো ২০১৯ সালে