ছবিতে নেই তো কী! মুকুলের নির্দেশেই টাকা নিয়েছেন, জল্পনা বাড়িয়ে জানালেন মির্জা
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা সাফ জানালেন তিনি মুকুল রায়ের নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন। এবং টাকা তুলে দিয়েছিলেন তাঁর হাতেই। এদিন মুকুলের কথা তুলে ধরেই তিনি কাউন্টার করেন।
সরাসরি মুকুল রায়ের দিকেই আঙুল তুললেন নারদ-কাণ্ডে ধৃত আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। সোমবার আদালতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা সাফ জানালেন তিনি মুকুল রায়ের নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন। এবং টাকা তুলে দিয়েছিলেন তাঁর হাতেই। এদিন মুকুলের কথা তুলে ধরেই তিনি কাউন্টার করেন।
মুকুলের এই বয়ানের পরিপ্রেক্ষিতে
রবিবার মুকুল রায়ের এলগিন রোডের বাড়িতে পুনর্নির্মাণ করা হয় ঘটনার। তা ক্যামেরাবন্দিও হয়। মির্জাকে নিয়ে সিবিআই মুকুল রায়ের বাড়িতে নারদ-কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর মুকুল রায় জানান, তিনি টাকা নেননি। কোথাও এমন ছবি দেখাতে পারবে না কেউ।
তদন্তেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সবকিছু
এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই মির্জা বলেন, টাকা নেওয়া ছবি দেখা যায়নি তো কী! ওনার ভয়েস তো শোনা যাচ্ছে। আর তদন্ত চলছে, তদন্তেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সবকিছু। আইন আইনের পথে চলছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে আইনের উপর। অপেক্ষা করুন সব জানতে পারবেন।
দু-তিন দিন যাবৎ হালকা ফিল
সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, সাড়ে তিন বছর ধরে মনের মধ্যে যে কথাগুলো চেপে রেখেছিলাম, আজ তা ব্যক্ত করে হালকা হয়েছি। মানুষ আমাকে ভুল ভেবেছিল। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা জানেন আমি কী ধরনের মানুষ। আমি নিজেকে সার্টিফিকেট দিচ্ছি না। কিন্তু আমি দু-তিন দিন যাবৎ হালকা ফিল করছি।
সব সত্যি কথা রেকর্ডিং হয়েছে
মির্জা বলেন, সব সত্যি কথা বলেছি। সব ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলছে। সত্যিকথা আপনারা পরে জানতে পারবেন। মুকুল রায় টাকা নেননি বললেই তো হবে না, ছবি সবসময় সব প্রমাণের শেষ কথা নয়। ইনভেস্টিগেশনকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে।
মুকুলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মির্জা
সিবিআইয়ের জেরায় মির্জা জানিয়েছিলেন তিনি মুকুল রায়ের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। সেই টাকা কীভাবে দেওয়া হয়েছিল, কোন জায়গায় দেওয়া হয়েছিল, তা দেখতেই এই পুনর্গঠন। মির্জা ও মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়েই ভিডিওগ্রাফি করে সিবিআই সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করে রবিবার। এবার মির্জা প্রকাশ্যেই মুখ খুললেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে।
[ ফের জনপ্রতিনিধিদের বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ! দলে দলে যোগ তৃণমূলে]
[শালিমার স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কংক্রিটের শেড! চাপা পড়ে গেলেন কর্মীরা]