১৫ বছর পর চেনটা ছিঁড়ে গেল, বকলেসটা খসে পড়লেই কি বিজেপিতে! জানালেন শিশির
১৫ বছর পর চেনটা ছিঁড়ে গেল, বকলেসটা খসে পড়লেই কি বিজেপিতে! জানালেন শিশির
মঙ্গলবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারীর অপসারণের পর থেকেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনাকে সত্যি করেই বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। দীর্ঘ ১৫ বছর এই জেলার দায়িত্ব সামলেছেন। একুশের ভোটের আগে সেই বাঁধনও খসে পড়ায় তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন শিশির।
গলার চেনটা ছিঁড়ে গেল, কিন্তু বকলেসটা এখনও আছে
শিশির অধিকারী অপসারণের বার্তা শোনার পর বলেন, গলার চেনটা ছিঁড়ে গেল, কিন্তু বকলেসটা এখনও আছে। মঙ্গলবার কলকাতার হাসপাতালে চোখের ছানি কাটিয়ে কাঁথির বাড়িতে ফেরার পর প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী হাসতে হাসতে বলেন, ২০০৬ সাল থেকে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এখন ২০২১ সাল। এতদূর তো আমিই টেনে নিয়ে এলাম।
সিপিএম টিপ করে বোমা ছুড়েছে, আমি তা লুফে নিয়েছি
এরপরই হতাশার সুর সোনা যায় শিশিরবাবুর কণ্ঠে। তিনি বলেন, সিপিএম আমায় টিপ করে বোমা ছুড়েছে। আমি বেলের মতো তা লুফে নিয়েছি। সিপিএমের ছোড়া বোমা লুফতে গিয়ে হাত ঝলছে গিয়েছে আমার। তা সত্ত্বেও সিপিএমের কঠিন সময়েও নিজের মতো করে জেলায় ঘুরে ঘুরে সংগঠনটা আমিই করেছি। আমি সেই লোক।
শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে বড়ই দোটানায়
শিশির অধিকারী বলেন, দিদিমণি যখন যা নির্দেশ দিয়েছেন, মাথা পেতে পালন করেছি। এখন সরিয়ে দিলে দেবে। আমার কাউকে বলার কিছু নেই। আক্ষেপ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে বড়ই দোটানায় থাকতে হয়েছে তাঁকে। বয়স বেড়েছে। আগের মতো মনের জোর হয়তো নেই। কিন্তু তিনি কোন ডাল ধরবেন ঠিক করে উঠতে পারেননি।
শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন বাবার উদ্দেশ্যে
শিশির অধিকারীকে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে অখিল গিরিকে বসানো হয়েছিল। এবার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সৌমেন মহাপাত্রকে বসানো হয়। শিশিরকে রেখে দেওয়া হল জেলা চেয়ারম্যান করে। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী আবার তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে যদি কর্মচারী হয়ে থাকতে না চান, তাঁরা বেরিয়ে আসবেন।
শিশির অধিকারী কি বিজেপিতে যাবেন? জানালেন নিজেই
শিশির অধিকারী কি বিজেপিতে যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শিশির অধিকারী বলেন, না, বকলেসটা এখনও গলায় আটকে আছে। পুরনো জিনিস তো। সহজে যাবে না। আর যদি কখনও ছিঁড়ে যায়? অট্টহাসি হেসে তিনি বলেন, বকলস ছিঁড়লে কি আর কেউ পুরনো প্রভুর কাছে আটকে থাকে? তখন তো বনবাদাড় সব পেরিয়ে ছুট ছুট আর ছুট! কী বোঝাতে চাইলেন শিশির অধিকারী।
তৃণমূল 'কোম্পানি’তে কর্মচারী হয়ে থাকতে চান থাকুন, শিশিরকে বার্তা পুত্র শুভেন্দুর