শুভেন্দুর শান্তিকুঞ্জে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় শিশির-সকাশে সুকান্ত, ফের জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
শুভেন্দুর শান্তিকুঞ্জে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় শিশির-সকাশে সুকান্ত, ফের জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
দুর্গাপুজো শেষ। রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তারপরই ফের রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হবেন রাজনীতিকরা। তার আগে লক্ষ্মী পুজোয় অংশ নিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কাঁথির শান্তিকুঞ্জে মিলিত হবেন বিজেপির বর্তমান দুই প্রধান মুখ। সেখানে সৌজন্য বৈঠক হতে পারে শুভেন্দুর পিতৃদেব শিশির অধিকারীর সঙ্গেও।
কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে শান্তিকুঞ্জে যাচ্ছেন সুকান্ত
বিজেপির রাজ্য সভাপতি যখন কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাচ্ছেন, তখন রাজনীতির কথা তো হবেই। তবে সুকান্ত মজুমদার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্মীপুজো যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শুভেন্দুর বাড়িতে যাওয়ার আগে শিশির অধিকারীর জন্য ধুতি-পাঞ্জাবি এবং মায়ের জন্য শাড়িও নিয়েছেন। সেই সঙ্গে মিষ্টি নিয়ে কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে শান্তিকুঞ্জে যাচ্ছেন সুকান্ত।
শিশির অধিকারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সুকান্ত
সুকান্ত মজুমদার লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়া এবং শিশির অধিকারীর মুখোমুখি হওয়াকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক কারণ। প্রতি বছরই ঘটা করে শিশির অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জে লক্ষ্মীপুজো হয়, কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতির যাওয়া নিয়ে এত ঘটা করা হয়নি।
লক্ষ্মীপুজোয় যাচ্ছি শান্তিকুঞ্জে, রাজনীতি খোঁজা বৃথা
সুকান্ত মজুমদার বলেন, অনেকদিন ধরেই শান্তিকুঞ্জে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সময়-সুযোগ হয়ে ওঠেনি। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে যখন সুযোগ এসে গেল, তাই সেই সুযোগ হাতছাড়া করছি না। সংসদে বহুবার শিশিরবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। এবার তাঁর বাড়িতে যাচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে আশীর্বাদ নেব। পরিবারের সকলের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হবে। এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা বৃথা।
শিশির অধিকারী বাড়িতে সুকান্ত, রাজনীতি তো আছেই
সুকান্ত মজুমদার তাঁর শান্তিকুঞ্জ সফরে কোনও রাজনীতি দেখতে না চাইলেও তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর বাড়িতে যেহেতু বিজেপির রাজ্য সভাপতি যাচ্ছেন তখন রাজনীতি ভিন্ন আলোচনা হতে পারে না। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিকভাবে কোন দলের সঙ্গে রয়েছেন, তা নিয়ে চর্চা চলছে।
দিলীপ-লকেট আসার দিন শুভেন্দু ছিলেন না, এবার?
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তমলুকে অমিত শাহের সভায় শিশির অধিকারী গিয়েছিলেন। বক্তব্যও পেশ করেছিলেন। তারপর বিজেপি সাসংদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নানা পদ-সহকারে দুপুরের খাবার বলে খাইয়েছিলেন শিশির অধিকারী। বিধানসভা ভোটের পর দিলীপ ঘোষও শান্তিকুঞ্জে গিয়েছিলেন শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করতে। বলেছিলেন, কাঁথিতে এসে শিশিরবাবুর সঙ্গে দেখা করাটা অন্যায়। তবে লকেট বা দিলীপ আসার দিন শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না। এদিন থাকেন কি না, তা-ই দেখার।
বার লক্ষ্মী আসুক ঘরে, ধর্না মঞ্চে ধনদেবীর আরাধনায় চাকরি প্রার্থীরা