রাঘব বোয়াল না কি চুনো পুঁটি, ক্রমশ জটিল হচ্ছে সারদা কেলেঙ্কারি
এদিকে সারদা গোষ্ঠীর গোপন তথ্য নিয়ে কুণাল ঘোষের সিডি বন্দী জবানিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলে। একে একে ঝুলি থেকে বেরিয়েছে রাঘব বোয়ালদের নাম। সেই ভিডিওতে শুভেন্দু অধিকারি থেকে মদন মিত্রদের মতো তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেতাদের নাম নিয়েছেন কুণাল ঘোষ। বাদ পড়েনি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। আর তাতেই যার পর নাই খেপেছেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর করেছেন তিনি।
বাংলা জনপ্রিয় একটি খবরের চ্যানেলে কুণাল ঘোষের এই রেকর্ড করা ভিডিওটি সম্প্রচার করা হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এর পর থেকেই শুরু হয় জলঘোলা। ভিডিওতে উল্লিখিত সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে কুণাল ঘোষকে প্রতারক বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। হুঙ্কার দিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে। একইসঙ্গে ওই ভিডিও সম্প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটির বিরুদ্ধেও আইনী লড়াই চালানো হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
এই বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তৃণমূল বিরোধীরা এই ইস্যুকে কাজে লাগানোর চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছেন। সিপিআিএম নেতা মহমম্দ সেলিম বলেন, নিজের দলের লোকেদের বাঁচাতেই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কত তোলা আদায় করবে তৃণমূল তারও মধ্যস্থতা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুযোগ ছাড়ছে না কংগ্রেসও। বাম নেতাদের মতো একই সুর ধরে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরির দাবী,কুণাল ঘোষ সত্যি কথা বলে ফেলতেই তড়িঘড়ি তাঁকে জেলে পুরে দেওয়া হল।