শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠের সঙ্গে গোপন বৈঠক পিকে-অভিষেকের! একুশের ভোটের আগে বাড়ল জল্পনা
একদিকে তমলুকে শুভেন্দু ও অভিষেকের ব্যানার-যুদ্ধ ঘিরে চাপানউতোর চলছে, অন্যদিকে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এক হেভিওয়েট নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে চর্চার অন্ত নেই। একদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের সদর শহর তমলুকে শুভেন্দু ও অভিষেকের ব্যানার-যুদ্ধ ঘিরে চাপানউতোর চলছে, অন্যদিকে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এক হেভিওয়েট নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু-অনুগামীকে তলব করলেন পিকে-অভিষেক
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবং নেত্রীর বিরুদ্ধে তিনি আজ পর্যন্ত কিছুই বলেননি। তারপর আবার তিনি ঘোষণা করেন, তিনি জেলা সফরে যাবেন। সেইমতো তাঁর ৮ নভেম্বর যাওয়ার কথা মুর্শিদাবাদ সফরে। সেখানে শুভেন্দুর যাওয়ার আগে তাঁর অনুগামীকে তলব করলেন পিকে-অভিষেক।
সভাধিপতিকে কলকাতায় তলব পিকে এবং অভিষেক
শুভেন্দু মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সভা করবেন। ওই সভায় তিনি মালদহ জেলার বেশ কিছু জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যদের তলব করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে শুভেন্দুর অনুগামীরা ওইদিন যেতে পারেন বহরমপুরে। এই পরিস্থিতিতে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে কলকাতা তলব করলেন পিকে এবং অভিষেক।
রাজনৈতিক অবস্থান জানতে তলব!
সেইমতো প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক মণ্ডলের সঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল এবং জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল কলকাতায়। এই বৈঠকে গৌরচন্দ্র মণ্ডলের কাছে তাঁর এবং জেলা পরিষদ অন্যান্য সদস্যদের রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চাওয়া হল বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর।
শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বৃদ্ধির পর
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব ছিলেন। সেইসময় থেকেই তাঁর অনুগামী তৈরি হয়েছিল দুই জেলায়। শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বৃদ্ধির পর মুর্শিদাবাদ জেলায় তাঁর অনুগামীরা একটি মিছিলও করেন। তারপর শুভেন্দু আবার এই জেলাতেই সভা করার কথা জানান।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে অস্বস্তি চলছেই
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে অস্বস্তি বজায় রয়েছে তৃণমূলে। শুভেন্দু এমনই কিছু মন্তব্য করছেন যে তাতে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। কখনও মনে হচ্ছে তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন, কখনও মনে হচ্ছে তিনি তৃণমূল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই অবস্থায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের। শুভেন্দুর মতো বড় নেতা যদি ২০২১-এর আগে দল ছাড়েন, তা হবে তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা।