মুকুল কি তলে তলে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে! কান পাতলেই গুঞ্জন তাঁর নিস্পৃহতায়
মুকুল কি একুশের ভোট মিটলেই ফিরবেন তৃণমূলে! কান পাতলেই গুঞ্জন তাঁর নিস্পৃহতায়
তৃণমূলের সঙ্গে কি তলায় তলায় যোগ আছে মুকুল রায়ের? ভোটের মাঝপথে এসে হঠাৎ সেই প্রশ্নটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই জল্পনাকে কিছুদিন আগে উসকে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন ভোটের মরশুমে মুকুল রায়ের নিষ্পৃহতা সেই জল্পনার পারদ আরও চড়েছে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে।
মুকুল রায়ের তৃণমূল-যোগের গুঞ্জন ভোটের বাংলায়
ভোটের বাংলায় হঠাৎ চর্চা শুরু হয়েছে মুকুল রায়কে নিয়ে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে- তলে তলে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কান পাতলেই তা শোনা যাচ্ছে সেই আলোচনা। মমতা বলেছেন, শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো। ও অন্তত এতটা গদ্দারি করেনি, যা এরা করেছে। মমতার মুকে মুকুল রায়ের প্রশংসার পর থেকেই জল্পনার জাল বোনা শুরু হয়।
প্রথম পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিলেন মুকুল, তবু নিষ্ক্রিয়
মমতার প্রশংসার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- ভোট মিটলেই কি দিদির কাছে ফেরত যাবেন বাংলার চাণক্য মুকুল রায়। তা না হলে পরিবর্তনের ভোটে সেই মেজাজ কোথায় গেল মুকুল রায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই প্রথম পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিলেন মুকুল রায়। এখন তাঁকে দেখা যাচ্ছে না ততটা সক্রিয় হতে।
একপ্রকার জোর করেই প্রার্থী, তাই কি বিরাগভাজন
মুকুল রায় এবারে ভোটের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির পক্ষ থেকে। তিনি চাননি ভোটের প্রার্থী হয়ে ময়দানে বিরাজ করতে। তবু তাঁকে একপ্রকার জোর করেই প্রার্থী করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তিনি কার্যত মাটি চষে ফেলছেন। কিন্তু বিপক্ষ প্রার্থীর দেখা মিলছে না সে অর্থে।
গেরুয়া শিবির থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন কেন মুকুল?
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ধীরে ধীরে কি গেরুয়া শিবির থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন তিনি? নাকি নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি আন্দাজ করেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন? এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনীতির অলিন্দে। রাজনীতিতে অসম্ভব কিছু নেই। সম্ভাবনার খেলাই লে রাজনীতিতে। তাই রাতারাতি শিবির বদল অসম্ভব নয়।
তৃণমূলে যখন সমস্ত সিদ্ধান্তই মমতা নেন, কোথায় সমস্যা
মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়েছিলেন সাড়ে তিন বছর আগে। অভিষেকের উত্থান মানতে না পারায় তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলে প্রচার ছিল। অভিষেককে নিয়ে মুকুলের ব্যক্তিগত সমস্যাও ছিল বলে জানা যায়। যদিও অভিষেকের কোনও সমস্যা ছিল না মুকুল রায়কে নিয়ে। আর তৃণমূলে যখন সমস্ত সিদ্ধান্তই মমতা নেন, তখন সমস্যা হবে কেন? প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি জানিয়েছেন, অভিষেক নন, তৃণমূল সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
যে মুকুল রায় একা হাতে বিজেপির জমি তৈরি করেছিলেন
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মুকুল রায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত। তৃণমূলের সঙ্গে ২০ বছর ছিলেন তিনি। তারপর ২০১৭-য় সেই দুই দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিগত দুটি নির্বাচনে মুকুল রায় একা হাতে বিজেপির জমি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু একুশের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে বর্তায়নি। তাই তিনি নিষ্ক্রিয় থেকেছেন। শুরু হয়েছে জল্পনা।
পুরনো ফর্মে পাওয়া যাচ্ছে না মুকুলকে, প্রশ্ন তাই গম্ভীর
বাংলায় একুশের নির্বাচন বিজেপির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা পরিবর্তনের লড়াইয়ে নেমেছেন একুশে। এই লড়াইয়ে পুরনো ফর্মে পাওয়া যাচ্ছে না মুকুলকে। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন। ভোট প্রচারেও তাঁকে তেমন সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। দলের সভা-সমিতি, মিটিং-মিছিলেও তাঁকে খুব কম দেখা যাচ্ছে। এমনকী মোদী-শাহ-নাড্ডাদের পাশেও দেখা যাচ্ছে না মুকুলকে।
মুকুল রায়কে নিশ্চুপ দেখে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে
কেন মুকুল রায় নীরব বাংলার ভোট উৎসবে ঘটনার ঘনঘটায়? রাজ্য রাজনীতিতে ভোটের আবহে কম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে না। নন্দীগ্রামে মমতার বুথ অবস্থান, শীতলকুচিকাণ্ড, মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, আরও কত কী! কিন্তু মুকুল রায়কে পাওয়া যাচ্ছে না পুরনো মেজাজে। মুকুল রায়কে নিশ্চুপ দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে!
শুভেন্দু-রাজীবদের আগমনে গুটিয়ে নিয়েছেন মুকুল!
এর আগে ভোটের শুরুতে জায়গা ছাড়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুকুল রায়। শুভেন্দু-রাজীবরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর হঠাৎ করে তাঁর গুরুত্ব কমে যাওয়াতেই কি তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন, প্রশ্ন উঠে পড়ে। তিনি বলেছিলেন জায়গা ছাড়তে জানতে হয়। তিনি সেটা জানেনও। তারপর থেকেই মুকুল রায় বিজেপিতে তেমন সক্রিয় হননি।
কান পাতলেই তৃণমূল-যোগের গুঞ্জন, চর্চার শেষ নেই
বাংলায় ভোটের আবহে মুকুলের সেই নিষ্পৃহতা চোখে লাগছে বড্ড বেশি। কান পাতলেই তৃণমূল-যোগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। স্বভাবতই মুকুল ঘনিষ্ঠদের কথাও উঠে পড়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা যেমতো গুরুত্ব পাচ্ছেন, তা পাচ্ছেন না মুকুল রায়। তাই রাজনৈতিক মহলে চর্চার শেষ নেই।
বিজেপি রক্ষণ মজবুত করল এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপারের যোগদানে, 'খেলা’ চলছেই