মঞ্জু বসু ইস্যুতে শেষপর্যন্ত জনসভায় ক্ষমা চাইলেন মুকুল রায়
মঞ্জু বসুকে ঘিরে বিতর্কে শেষপর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
মঞ্জু বসুকে তাঁর কথাতেই নোয়াপাড়ায় প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে নাম ঘোষণার পর ইউ টার্ন করে মমতার পায়েই লুটিয়ে পড়েন মঞ্জু। জানিয়ে দেন, দিদির সঙ্গেই থাকবেন। আর এই ঘটনায় মুখ পোড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো মুকুল রায়ের। শেষপর্যন্ত অবস্থা সামাল দিতে আসরে নামতে হল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তাঁর কথায় প্রার্থী হন ব্যারাকপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মঞ্জু বসুকে ঘিরে বিতর্ক থামেনি। আর সেজন্যই সোদপুরে জনসভায় শেষপর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেই ঘটনার দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মুকুল।
পাশাপাশি তৃণমূল মঞ্জু বসুর উপরে চাপ তৈরি করে ভোটে দাঁড়াতে দেয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন সোদপুরে এক জনসভার মঞ্চ থেকে একথা জানিয়েছেন তিনি।
নোয়াপাড়ায় তৃণমূল নেত্রী মঞ্জু বসুকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। বেশ কয়েকবার মঞ্জুদেবীর সঙ্গে কথা হওয়ার পরে তাঁর সম্মতি নিয়েই প্রার্থীপদ ঘোষণা করা হয়। তবে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন মঞ্জু বসু। আর তাতেই মুখ পোড়ে মুকুল রায়ের। কারণ বিজেপির একাংশ তাঁকে প্রার্থী করতে নিষেধ করেছিল।
মুকুল সেই প্রসঙ্গে এদিন বলেছেন, মঞ্জু বসুর নাম দেওয়া আমার ভুল হয়েছিল। সেই ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, মঞ্জু বসু বলেছিলেন তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সঠির বিচার তিনি পাননি। দলও তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি। সেই শুনে বিজেপি প্রার্থী পদ দিলেও তৃণমূলের চাপে তা অস্বীকার করেন মঞ্জু বসু।