গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না! বিএফএফ মানে বিজেপি সেফ নয়, মোদীকে স্পষ্ট জানাবেন মমতা
গত কয়েকদিন ধরেই বিএসএফ ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভাতে প্রস্তাব আনা হয়েছে তৃণমূল সরকারের তরফে। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই জ
গত কয়েকদিন ধরেই বিএসএফ ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভাতে প্রস্তাব আনা হয়েছে তৃণমূল সরকারের তরফে। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই জবাব এখনও আসেনি। এবার খোদ বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদিকে যখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিত ত্রিপুরাতে তখন দিল্লি উড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। তাঁর দিল্লি সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক জল্পনা। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দিল্লি সফর নিয়ে শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। তাঁর এই সফরে একাধিক বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা হতে পারে।
এমনকি বেশ কয়েকজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। এমনকি ফের একবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বলে খবর। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মোদীর সঙ্গে বৈঠক।
এদিন দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিএসএফ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে। গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না। হুঁশিয়ারি তাঁর। যদিও এরপরেই কিছুটা নমনীয় হয়ে বলেন, বিএসএফ আমার বন্ধু। তবে বিএসএফ মানে বিজেপি নয়।
শুধু তাই নয়, এজেন্সিকে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। কবে বৈঠক রয়েছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, আগামী পরশু অর্থাৎ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং আছে।
বিএসএফ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছেই। শাসকদল প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছে। অন্যদিকে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? পালটা প্রশ্ন বিজেপির। তাঁদের দাবি, যেভাবে সীমান্তে চোরাচালান, পাচার হয়ে চলেছে তা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। আর বিএসএফ কাউকে গ্রেফতার করেনা। অভিজুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাহলে সমস্যা কোথায়?
যদিও তৃণমূলের দাবি, ঘুরপথে কেন্দ্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। আরনেই তরজার মধ্যে দিল্লিতে বিএসএফ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যা অন্য মাত্রা নিতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিকমহলের।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আরও জানিয়েছেন, বিএসএফ ছাড়াও রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে মোদীর সংে কথা বলার আছে। রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বকেয়া অরথ নিয়েও সরব হতে পারেন তিনি। এখন দেখার বুধবার কোনদিকে গড়ায় পরিস্থিতি।
অন্যদিকে এদিন দিল্লি সফরে উড়ে যাওয়ার আগে ত্রিপুরা ইস্যুতেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বিজেপি ওখানে কি অত্যাচার করছে। কেন মানুষের রায়ের উপর ওদের ভরসা নেই। তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।