
'গোপন' বৈঠকের পরেই তৃণমূলে যোগ 'বহিষ্কৃত' জয়প্রকাশের! চাঞ্চল্যকর তথ্য 'ফাঁস' করলেন লকেট
তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। আজ মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন প্রাক্তন ওই বিজেপি নেতা। আজ নজরুল মঞ্চে দলের সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে।

সোমবারই তিনি বৈঠক করেছিলেন বিজেপির 'বিদ্রোহী' নেতাদের সঙ্গে। তাৎপর্যপূর্ণ সেই বৈঠকে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তার পরদিনই তিনি তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিলেন। স্বভাবতই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে বড়সড় ভাঙন ধরাতেই ওই বৈঠক ছিল? যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট।
তাঁর স্পষ্ট দাবি, দলীয় নেতৃত্বর নীতির কারনেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ। যদিও জয়প্রকাশ মজুমদারকে সবাই দল ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তা তিনি শোনেননি বলেই দাবি বিজেপি সাংসদের। তবে এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লকেট আরও বলেন, দল ছেড়ে ইতিমধ্যে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। আর এজন্যে তিনিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকেই দায়ি করেছেন। একই সঙ্গে নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ।
তাঁর মতে, দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। যেভাবেই হোক দলের এই ভাঙন রোখা উচিত বলে দাবি লকেটের। আর এজন্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান হুগলির এই বিজেপি সাংসদ।
তাঁর মতে, আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।'' তবে চেষ্টা চালাতে বলে জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সুকান্ত মজুমদার বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পরেই নয়া কমিটি তৈরি হয়। আর তা থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। কার্যত বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। একেবারে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায় বঙ্গ বিজেপি। মতুয়া সম্প্রদায়ের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ এবং বিদ্রোহী নেতারা একজোট হতে শুরু করে।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড নির্বাচন শেষ করে কলকাতায় ফিরে এসেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর কলকাতায় ফিরেই দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। কেন ভোট কমছে তা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ করার কথাও উঠে আসে লকেটের মুখে। যা নিয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষের তোপের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে।
এই অবস্থায় গিত ২৪ ঘন্টা আগে কলকাতায় জয়প্রকাশ মজুমদার, রিতেশ তিওয়ারির মতো নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন লকেট। সেখানে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু'র মতো বিক্ষুব্ধ নেতারাও। আর এরপরেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূল যোগ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে লকেট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, উনি কার্যসিদ্ধি'র জন্যে গিয়েছেন!