কংগ্রেসকে উপনির্বাচনে সমর্থন দিয়ে রাজ্যসভায় আসন চায় বামেরা! চর্চায় এবার জোট-শর্ত
বাম-কংগ্রেস কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবার ভোট-যুদ্ধে নেমেছে। কংগ্রেসকে দুটি আসন ছেড়ে নিজেরা লড়ছে একটি আসনে। এবার কংগ্রেসের এই প্রস্তাব নিয়ে কোনও দ্বিমত করেনি বামেরা।
বাম-কংগ্রেস কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবার ভোট-যুদ্ধে নেমেছে। কংগ্রেসকে দুটি আসন ছেড়ে নিজেরা লড়ছে শুধু একটি আসনে। এবার কংগ্রেসের এই প্রস্তাব নিয়ে কোনও দ্বিমত করেনি বামেরা। তা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বামেদের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও শর্ত। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এমনটাই।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সমর্থন দাবি
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যসভায় এবার কংগ্রেসের সমর্থন চাইছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। তাই মুখ বুজে এবার বামফ্রন্ট মেনে নিয়েছে কংগ্রেসের প্রস্তাব। ২০২০ সালেই বাংলা থেকে ছয় রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই মেয়াদ শেষ হলেই রাজ্যসভায় যাবে অন্তত একজন বিরোধী সাংসদ।
রাজ্যসভায় জোটের প্রার্থী এবার
বর্তমান অঙ্ক অনুযায়ী, ছয় সাংসদের মধ্যে পাঁচজন নির্বাচিত হবে শাসক দলের। বাকি একটা জায়গা নিয়ে লড়াই। এই একটি জায়গায় প্রার্থী হতে পারে কংগ্রেস বা বামফ্রন্টের। আবার এবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দুই দল একযোগে প্রার্থী দিল। অর্থাৎ জোটের প্রার্থী হল এবার।
বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে প্রথমবার
আর তা যদি হয়, বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে প্রথমবার একসঙ্গে প্রার্থী দিতে দেখা যেতে পারে কংগ্রেস ও বামেদের। রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতে গেলে একজন প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ৪৯ ভোট পেতে পারে। বাম ও কংগ্রেসের হাতে যে সংখ্যা আছে, তা প্রয়োজনের থেকে বেশি। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকের ভোট বাম-কংগ্রেসের দিকে আসবে কি, তা নিয়েই সন্দেহ।
পরিসংখ্যানে কংগ্রেস ও বাম
পরিসংখ্যান বলছে, কংগ্রেসের হাতে আছে ৪০ জন বিধায়ক, বামেদের ৩০ জন। কিন্তু তাঁদের অনেকেই আবার পাড়ি দিয়েছে অন্য দলে। কেউ তৃণমূলে, কেউ বিজেপিতে। তাই সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়তে পারবে না কংগ্রেস-বামেরা। তবে তাঁদের যৌথভাবে ৪৯টি ভোট পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার নয়।
কোনও প্রস্তাব কগ্রেসকে দেওয়া হয়নি
বামেরা চাইছে প্রার্থী দিতে। এ নিয়ে বামেদের তরফে কোনও প্রস্তাব কগ্রেসকে দেওয়া হয়নি। বা এই শর্ত দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। তবে দলের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কংগ্রেসকে কোনও শর্ত দিইনি। কেনই বা শর্ত দেব, ওই আসনটি তো বামেদেরই ছিল।
জোট প্রার্থী জয় পেলে লাভ বিধানসভায়
উল্লেখ্য, ওই আসনে রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা আশাবাদী কংগ্রেস সমর্থন করবে বাম প্রার্থীকে। রাজ্যসভার ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী জয় পেলে বিধানসভা ভোটে তা ফলদায়ক হবে।
মান্নান যখন আসরে
উল্টোদিকে খড়গপুর কেন্দ্রে আবদুল মান্নান তৃণমূলে সমর্থনের বার্তা দেওয়াকে রাজনৈতিক মহল অন্য চোখে দেখছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার রাজ্যসভায় যেতে চাইছেন মান্নান। তাই তৃণমূলকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন। সোনিয়াকে চিঠি লিখেছেন প্রদেশের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে। অথচ এই মান্নান সাহেবই বাম-কংগ্রেস জোটের প্রবক্তা ছিলেন।