সাজছে কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালী
উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বয়রা কালীর পুজো। একসময় ডাকাতরা এই বয়রা গাছের বেদী তৈরি করে কালীপুজো করত। সময়ের নিয়মে সেখানে এখন তৈরি হয়েছে মন্দির।
উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বয়রা কালীর পুজো। একসময় ডাকাতরা এই বয়রা গাছের বেদী তৈরি করে কালীপুজো করত। সময়ের নিয়মে সেখানে এখন তৈরি হয়েছে মন্দির। অত্যন্ত জাগ্রত কালী বলেই জানেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে একাধিক মানুষ এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। কালীপুজো উপলক্ষ্যে ধুমধাম একটু বেশি হয়।
দীপাবলীর রাতের পুজো দেখতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে কালিয়াগঞ্জ শহরের বয়রা কালীমন্দিরে। রাতভর চলে কয়েকশো বলি। পরদিনও কয়েক হাজার মানুষ মন্দিরে বসে ভোগ খেয়ে থাকেন। এই বিপুল জনসমাগম সামাল দিতে দিনরাত এক করে কাজ করে পুলিশ ও প্রশাসন।
কথিত আছে কালিয়াগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্রীমতী নদী দিয়ে নৌকা করে ডাকাতি করতে আসত ডাকাতরা। কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদীর ধারে এই এলাকায় ছিল আমলকি হরিতকি ও বয়রার গাছের জঙ্গল। তাই এই বয়রা গাছের নীচে বেদীতে ফুল জল দিয়ে পুজো করত ডাকাতদল। সেই বেদীতেই শুরু হয় কালীমাতার পুজো। বয়রা গাছের নীচে কালীমাতার পুজো হত। সেই থেকেই নাম হয় বয়রা কালীমাতার পুজো। প্রথমে কাঁচা ঘরের মন্দিরে হত এই পুজো। ধীরে ধীরে এলাকার বাসিন্দা ও ভক্তদের দানে কালিয়াগঞ্জে নির্মিত হয় সুদৃশ্য বিশালাকার বয়রা কালী মন্দির।
পুজোর দিন পাঁচ রকমের মাছ ভাজা দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। হাজার হাজার পূনার্থী বয়রা কালীমন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তারা মানতও করেন। নিত্যদিনই পুজো হয় তবে দীপাবলির পুজার দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীমন্দিরে।
[কালীপুজোতেও সরকারি অনুদানের দাবি]