বিজেপির আদি নেতাদের বিদ্রোহ সভাপতির বিরুদ্ধে! মুকুল গুরুত্ব বাড়তেই কি সঙ্কট তীব্র
২০২১ যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপিতে কোন্দল বাড়ছে। খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির আদিনেতারা। অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে প্রবল গোষ্ঠী কোন্দলের মুখে পড়ল বিজেপি।
২০২১ যত এগিয়ে আসছে, ততই বঙ্গ বিজেপিতে কোন্দল বাড়ছে। খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির আদিনেতারা। অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে প্রবল গোষ্ঠী কোন্দলের মুখে পড়ল বিজেপি। খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুরনো নেতা-কর্মীদের অগণতান্ত্রিকভাবে পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন।
সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর বিজেপির আদি নেতারা
বিজেপি ২০১৯ সালে থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমকে টার্গেট করেছিল। সেখানেই এক বছর কাটতে না কাটতে গেরুয়া-রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠল গোষ্ঠী কোন্দলে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মিছিল করে প্রতিবাদে মুখর হল বিজেপির আদি নেতারা। কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপি ব্যানারে মিছিল হল। কিন্তু আদতে সেই মিছিলে শোনা গেল দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আওয়াজ।
মিছিল করলেন বিজেপির অপসারিত কার্যকর্তারা
বীরভূমের রামপুরহাটের কৃষি আইনের সমর্থনে মিছিলে নেমে বিজেপির কোন্দলকে সামনে টেনে নিয়ে এলেন বিক্ষুব্ধরা। এই মিছিলের ব্যানারে উদ্যোক্তা হিসেবে লেখা ছিল- দায়িত্ব বঞ্চিত বিজেপির কার্যকর্তাগণ। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন বিজেপির কিষাণ মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি সোমনাথ ঘোষ, বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সত্যেন দাস। ছিলেন বিজেপির একাধিক প্রার্থী ও অপসারিত পদাধিকারীরা।
অভিযোগ ১ : জেলা সভাপতি টেস্ট টিউব বেবি
এই মিছিলে বর্তমান সভাপতিদের কাউকেই যোগদান করতে দেখা যায়নি। কৃষি আইনের সমর্থনে এই মিছিল হলেও আসলে এই মিছিল থেকে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয় জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে নিশানা করে তাঁকে টেস্ট টিউব বেবি বলে সম্বোধন করেন।
অভিযোগ ২ : জেলা সভাপতির হিটলার মানসিকতা
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রামপুরহাট এক নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মুকুল বন্যোসভপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে পঞ্চায়েতে জিতেছি। আবার লোকসভাতেও একাধিক বুথে লিড এনেছি। তারপরও আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সভাপতি হিটলারি মানসিকতা নিয়ে দল চালাচ্ছেন।
অভিযোগ ৩ : বিজেপির সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের দালাল
মুকুলবাবু আরও বলেন, বিজেপির বর্তমান সভাপতি তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দালাল। তিনি দলকে সর্বনাশের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিজেপি মনোভাবপন্ন মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না। এর আগে বিজেপির জেল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আর এক বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডলও।
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কী অভিযোগ বিদ্রোহীদের
সোমনাথ ঘোষ অভিযোগ করেন, বর্তমান জেলা সভাপতি রাজনীতির কিছু বোঝেন না। তিনি জেলা সভাপতি হওয়ার পর ৩৩টি মণ্ডল সভাপতিকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দলীয় কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের পুরনো কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। পুরনো কর্মীদের সম্মান নেই।
জবাবে কী জানালেন বিজেপির জেলা সভাপতি
এদিন প্রকাশ্যে বিজেপির বিক্ষুব্ধদের মিছিল অস্বস্তি ডেকে আনল গেরুয়া শিবিরে। সেইসঙ্গে অশান্তির বীজ বপন হল। বিজেপি জেলা সভাপতিকে পিকের দালাল বলে কটাক্ষের জবাব এড়িয়ে শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, বিজেপির ব্যানারে কারা মিছিল করেছে খোঁজখবর নিয়ে বলব। উল্লেখ্য, বীরভূম বিজেপি প্রায়ই নানা কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে।