বাংলার রায় নিয়ে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের কার কী প্রতিক্রিয়া!
সকাল ১১ টা ৫৪ মিনিট : সাংবাদিকদের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল কংগ্রেস একা লড়েছে। ৪৯ বছরের মধ্যে এই প্রথম এককভাবে তৃণমূল লড়েছে বাংলায়। যা আগে হয়নি। এবার সমস্ত বিরোধী শক্তি এক হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মানুষ সঙ্গে ছিল। সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাই, অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানাই। [শুক্রবার শপথ নেবেন, নির্বাচনে জিতে আর যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
রাজনীতিটা একটা নোংরামির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তা কাম্য নয়। আমার যদি ভুল হয় আমি শিক্ষা নেব। অন্যরা যদি ভুল করে তাদেরও শিক্ষা নিতে হবে। আমার অনেক কর্মীরা খুন হয়েছে। উন্নয়নই ছিল আমাদের হাতিয়ার। বিজয় উৎসব হবে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক-মাদ্রাসা-আইএসি-সিবিএসই বহু মেধাবী ছাত্ররা ভাল ফল করেছে। তাই বিজয় উৎসবের বদলে সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠানের কর্মসূচী চলবে। [মানুষই ছক্কা হাঁকিয়েছে, সূর্যকান্তকে কটাক্ষের জবাব ফেরালেন মমতা]
সূর্যকান্ত মিশ্র: বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করার প্রচেষ্টা এখনও প্রাসঙ্গিক রয়েছে। বিজেপি-তৃণমূল গোপন বোঝাপড়া হয়েছে। মোট ১০-১২টি আসনে বিজেপি তৃণমূলকে বা তৃণমূল বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেখান থেকে দেখতে গেলে আমাদের অবনতি হয়নি, বরং সামান্য উন্নতি হয়েছে। [আর যা যা বললেন সূর্যবাবু]
অধীর চৌধুরি: অজুহাত দিয়ে হার ঢাকা যায়না। মানুষের কাছে জোট বিশ্বাসযোগ্যতা পায়নি। তাই এই ফল। তবে মুর্শিদাবাদের ফল খারাপ হয়নি। সিপিএম-এর আসনে তৃণমূল জিতেছে। কংগ্রেসের আসনে কিন্তু জয় পায়ি তৃণমূল। [হারের জন্য ঘুরিয়ে বামেদের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অধীর চৌধুরী]
সুজন চক্রবর্তী : প্রত্যাশিত ছিল না, কিছু মানুষ মনে করেছেন তৃণমূলকে ফেভার করা উচিত, তারা করেছেন। আমার কেন্দ্রে যে হিসাবটা ভেবেছিলাম তেমনটাই হয়েছে। তাই আমার কেন্দ্রর সঙ্গে গোটা রাজ্যের চিত্রটা ঠিক মেলাতে পারছি না।
অনুব্রত মণ্ডল: তাবড় তাবড় সিপিএম নেতা, তাবড় তাবড় কংগ্রেস নেতা, তাবড় তাবড় বিজেপি নেতা, অন্যদিকে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। এ জয় উন্নয়নেরই জয়। আমি বলেছিলাম ২১০ থেকে ২২০ আসন পাব। ফল এখন সেদিকেই এগোচ্ছে।শুভেন্দু অধিকারী : যেভাবে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি একজোটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার চালাচ্ছিল, তাতে নির্বাচন কমিশনও কম যায়নি। কিন্তু সেই সব ষড়যন্ত্রের জবাব বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতার জয় দিয়েই মানুষ দিয়েছে। এই জয় মানুষেরই জয়।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় : যারা আশীর্বাদ করেছে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নেতৃত্বের নির্দেশ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারবে না, তাই আমি মন্ত্রী হব কি না তা দল ঠিক করবে।
আব্দুল মান্নান : আমি জয়ের আশা করেছিলাম। জোটের জয়ের আশা করেছিলাম। কিন্তু তার প্রতিফলন ভোটে পড়েনি। ব্যর্থতার জায়গা তো নিশ্চয় রয়েছে।
ফিরহাদ হাকিম : কথায় আছে, কেন্দ্রের উপর চাপিয়ে দোষ, পার পাবে না জ্যোতি বসু। সারাক্ষণ গুণ্ডাবাজি, দহরম মহরম, কুৎসা, ষড়যন্ত্র করে পরে এসে বড় বড় কথা বলে মানুষের মন টানা যায় না। মানুষ জানে যখন ডাকি তখন পাই, তাই ববি দাকে চাই।
তন্ময় ভট্টাচার্য : আমার কাছে লড়াইটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই। তবুও আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। মানুষের সাড়া যেভাবে পেয়েছি, তৃণমূল কর্মীদের একাংশের থেকেও যেভাবে সমর্থন পেয়েছিলাম তাতে জয় নিয়ে আশাবাদীই ছিলাম।
বাইচুং ভুটিয়া : মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। কোন জায়গায় খামতি রয়ে গেল পর্যালোচনা করে দেখতে হবে।