২ মাসের মাথায় ফের 'সাইকো কাণ্ড'! হাওড়ায় মেয়ের মরদেহ নিয়ে বাস মায়ের
কলকাতা, ১১ অগাস্ট : গত জুন মাসে সংবাদমাধ্যমের দৌলতেই প্রথম জানা গিয়েছিল খোদ কলকাতার বুকে 'সাইকো কাণ্ড'-র কথা। দিদির মরদেহ নিয়ে মাসের পর মাস একই বাড়িতে বাস করছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি। [৬ মাস ধরে দিদির কঙ্কালের সঙ্গে বসবাস ভাইয়ের]
ঠিক দু'মাসের মাথায় প্রায় একই ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়ার ডোমজুড়। মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে একই ঘরে থাকছিলেন এক প্রৌঢ়া। জানা গিয়েছে, ৬৭ বছর বয়স্ক ওই মহিলার মৃতা মেয়ের বয়স ২৪ বছর। [দেবযানীর দেহের মাংস গেল কোথায়? ধন্দে পুলিশ]
পড়শিরা জানিয়েছেন, মেয়ে-মায়ের বনিবনা ছিল না। একটিই মাত্র ঘরে থাকলেও এমনকী দুজনে নিজেদের মধ্যে তেমন কথাও বলতেন না। এদিন সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের মধ্যে থেকে দুর্গন্ধ বেরতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। [রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কালটা দেবযানীরই তো? ধন্দ ক্রমেই বাড়ছে]
পুলিশ এসে দেখে, অন্নপূর্ণা নামে ওই প্রৌঢ়া মহিলা মাটিয়ে শুয়ে রয়েছেন, পাশের খাটে তার মেয়ে তনিমার দেহ। এরপরই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ধীরে ধীরে পচতে শুরু করেছিল। প্রৌঢ়াকে জিজ্ঞাসাবেদ করা হলে তিনি জানান, মেয়ে মারা গিয়েছে তা তিনি জানতেন না। [কঙ্কাল কাণ্ড : একই বাড়িতে থেকে বাবা-মেয়ে-ছেলে একে অপরকে চিঠি লিখতেন?]
যেহেতু দুজনের মধ্য়ে কথাবার্তা তেমন ছিল না, তাই এমন হওয়া আশ্চর্যের নয়। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান রবিবার রাতে অথবা সোমবার সকালে মারা গিয়েছেন তনিমা। তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটল তাই এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা সারা দেশের সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছে। পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি নিজের দিদির মৃতদেহ নিয়ে ৬ মাস একই বাড়িতে বাস করেন বলে সেসময়ে জানা গিয়েছিল।