বিরোধী শূন্য গড়ে জয়জয়কার তৃণমূলের! এরপরেও নিশ্চুপ রইল অভিষেকের টুইটার
পুরসভা নির্বাচনে প্রচারে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি চার পুরসভাতেও প্রচারে নামেননি তিনি। কার্যত দূরে থেকেই নিজের গড় আগলে রাখলেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'। এদিন সকাল থেকে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকে হা
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রচার করলেও রাজ্যের ১০৮ পুরসভা নির্বাচনে প্রচারে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি চার পুরসভাতেও প্রচারে নামেননি তিনি। কার্যত দূরে থেকেই নিজের গড় আগলে রাখলেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'। এদিন সকাল থেকে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকে হাওয়া ঘুরতে থাকে ঘাসফুলের দিকে। একের পর এক পুরসভার দখল যায় শাসকদলের হাতে।
এমনকি ধারে কাছে আসতে পারেনি বিরোধীরা। কিন্তু এতবড় জয়ের পরেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
তেমনই ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে তিন পুরসভাতেও জয়জয়কার শাসকদলেরই। এমনকি এই তিনটির একটাতেও কিছু করে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা মহেশতলা, বজবজ ও ডায়মন্ড হারবার পুরসভাতেই বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে পুজালিতে ভোট হয়নি।
ডায়মন্ডহারবার কিংবা বজবজ পুরসভাতে বিরোধীরা একটা খাতাও খুলতে পারেনি। যদিও মহেশতলা পুরসভার একটি ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী জয় লাভ করছেন। অর্থাৎ এই পুরসভার ৩৫টি আসনে ৩৪টিতেই তৃণমূলের বিজয়ধ্বজা উড়ছে।
তবে ভোটের আগেই বজবজ পুরসভায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শাসকদল। ২০টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট বজবজ পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে বিরোধী কোনও প্রার্থী ছিল না। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২টি ওয়ার্ডে ভোট হয়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তৃণমূল ওই পুরসভাতে এগিয়ে থাকায় বোর্ড করছে শাসকদলই।
তবে প্রচারে না থাকলেও তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়জয়কারের কান্ডারি যে তিনিই তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন অনেকেই। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপরেই এই তিন পুরসভা এলাকার মানুষ ভরসা রেখেছে। আর সেটাই ফলাফলে স্পষ্ট।
তবে দলের এহেন ফলাফলের পরেও নিশ্চুপ রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে তো নয়ই, এমনকি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনও শুভেচ্ছা বার্তা নেই অভিষেকের তরফে। অন্তত এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিষেকের টুইটারের শেষ টুইট ১৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর বিগত কয়েকদিন কেটে গেলেও কোনও আপডেট নেই। আর তা নিয়েই রাজনৈতিকমহলে জোর জল্পনা। কেন এমন ভাবে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন 'যুবরাজ'? গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরেই। বিশেষ করে দলের একজন শীর্ষ পদাধিকারী হয়েও কেন নিশ্চুপ তিনি?
বলে রাখা প্রয়োজন দলের মধ্যে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ তৈরি হয়। কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল দলের প্রবীণ এবং নবীনদের মধ্যে একটা সংঘাত। এই অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডেকে সমস্ত কমিটি ভেঙে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পদ খোয়াতে হয় অভিষেককে।
যদিও নতুন করে কমিটি গঠন হলে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে তাঁর পদ ফিরিয়ে দেন নেত্রী। কিন্তু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অভিষেকের সঙ্গেই বেশ কয়েকজনকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি সেই বৈঠকে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ওল্ড ইস গোল্ড। আর সেই সংঘাত কি এখনও অব্যাহত! আর সেই কারণেই এতটা নিশ্চুপ মমতা ভাইপো? প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।