চার পুরসভার ভোটে থাকবে প্রায় ৯ হাজার সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ! কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষেই বিরোধীরা
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই অবস্থায় আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট রয়েছে। ভোট হবে চন্দননগর, আসানসোল, বিধাননগর এবং শিলিগুড়িতে। রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে একমাস ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি বিজেপি সহ বিরোধীদের।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই অবস্থায় আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট রয়েছে। ভোট হবে চন্দননগর, আসানসোল, বিধাননগর এবং শিলিগুড়িতে। রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে একমাস ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি বিজেপি সহ বিরোধীদের।
কিন্তু তা মানতে নারাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাঁদের মতে, জীবন যখন থেমে থাকতে পারে না, ভোট থামতে পারে না। কড়া কোভিড বিধি ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে কমিশনের তরফে। কিন্তু তা কতটা মানা হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সন্ত্রাস দেখেছে কলকাতার মানুষ
গত কয়েকদিন আগে কলকাতায় পুরসভা নির্বাচন গিয়েছে। সেখানে ভোট পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই অশান্তি দেখেছে বাংলার মানুষ। বোমাবাজি থেকে মারপিঠের ছবি দেখেছে। বেলা বাড়তে তা আরও ভয়াবহ আকার নেয়। এই অবস্থায় চার পুরসভায় ভোট হতে চলেছে। কলকাতায় যদি এমন অবস্থা হয়। তাহলে চার পুরসভায় কি হতে চলেছে? আর সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি বিজেপি সহ বিরোধীদের। যদিও রাজ্য বাহিনীতে আস্থা প্রশাসনের।
রাজ্য বাহিনীতে আস্থা
শুধু রাজ্য প্রশাসনই নয়, চার পুরসভার ভোটে রাজ্যের বাহিনীতেই আস্থা নির্বাচন কমিশনের। গত কয়েকদিন আগেই নিরাপত্তা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় নবান্নে। আর সেখানেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই রাজ্য পুলিশের কাজের প্রতি কার্যত আস্থা রাখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চার পুরসভার ভোটে ঠিক কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের কাছে চায় কমিশন। আর সেই সংক্রান্ত জমা পড়ল আজ সোমবার।
৯ হাজারের বেশী পুলিশ থাকবে
জানা যাচ্ছে, চার পুরসভার ভোটে প্রায় ২০৭৮টি বুথ রয়েছে। প্রত্যেক বুথেই রাজ্য পুলিশ বাহিনীর জওয়ানরা থাকবে। আজ সোমবার নবান্নের তরফে যে রিপোর্ট কমিশনকে দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ৯ হাজার সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি গণনা কেন্দ্রেও পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একজোট বিরোধীরা
ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে চার পুরসভার ভোট একমাস পিছানোর দাবি বিরোধীদের। যদিও তা মানতে নারাজ কমিশন। এই অবস্থায় বাহিনী নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্জের দাবি, ৯ হাজার দিক ১০ হাজার দিক, তাতে কি যায় আসে। পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকা হবে পুলিশের কাজ। কোনও কিছুতেই কিছু হবে না। কার্যত একই মত বিজেপি নেতারও। তাঁরা এই বিষয়ে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানানো হয়েছে।