২২ থেকে ২৪শে নভেম্বর বিজন সেতু বন্ধের প্রস্তাব কেএমডিএর
টালা ব্রিজ বন্ধের জেরে ইতিমধ্যেই নাজেহাল কলকাতাবাসী। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজ বন্ধের প্রস্তাবও এসেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এবার কলকাতা কলকাতা পুলিশের কাছে আগামী ২২ থেকে ২৪ শে নভেম্বর বিজন সেতু বন্ধের প্রস্তাব দিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি ওরফে কেএমডিএ।
বিগত কয়েক বছরে একের পর এক সেতু বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে বাংলার মানুষ। এবার বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএমডির এক কর্মকর্তার। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এখনও কোনও সদর্থক উত্তর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে কেএমডিএর এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, প্রথম দফাতে ৭টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সরকারি বাবে। সেইমতো ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর বিজন সেতুর পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু দুর্গা পুজোর কারণে শহরে যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় তা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, বিজন সেতু বাদ দিয়ে বাকি সেতুগুলি পরীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফাতে আরও পাঁচটি সেতুর পাশাপাশি বিজন সেতু পরীক্ষার কাজও শুরু হবে বলে জানান কেএমডিএর এক প্রবীণ আধিকারিক। শহরে কোনও বড় অনুষ্ঠান না থাকায় ওই সময় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সহজ সাধ্য হবে বলে জানান তিনি।
কলকাতা পুলিশ এই বিষয়ে জানিয়েছে, বিজন সেতু বন্ধ রাখার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। আগে যখন ওই সেতু বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তখন বিকল্প রুট হিসেবে ইএম বাইপাস থেকে গড়িয়াহাটমুখী গাড়িকে সাঁপুইপাড়া দিয়ে ঘোরানো হবে বলে ঠিক হয়েছিল। অন্য দিকে বাইপাস গামী সব গাড়ি পাটুলি কানেক্টর বা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর দিয়ে যাবে বলে ঠিক হয়।
কেএমডিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, "দরকারে পার্ক-সার্কাস কানেক্টর ব্যবহার করে গাড়ি গুলি কে ঘোড়াতে হবে, এক্ষেত্রে দক্ষিণ কলকাতায় এই কয়েকদিন পরিবহন ব্যবস্থা একটু চাপের সম্মুখীন হবে,যেমনটা কদিন আগেই চিঙড়িঘাটা উড়ালপুল তৈরির সময় হয়েছিল। এই কাজটি একমাত্র সম্ভব সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে, যেভাবে শিয়ালদহ উড়ালপুলের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। নগরবাসীকে আগে থেকেই তাই জানানোর প্রয়োজন রয়েছে।"