মোর্চা নেতাদের সিবিআই নোটিশ, আদালতে হাজিরার পিছনে গ্রেফতারির ফাঁদ দেখছে গুরুংরা
সিবিআই নোটিশ পাঠালেও বিমল গুরুং-রা আদৌ কলকাতায় আসবেন কি না, হাইকোর্টে শুনানি চালাকালীন উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
মদন তামাং হত্যা মামলায় বিমল গুরুং, রোশন গিরি, বিনয় তামাং-সহ একাধিক মোর্চা নেতাকে নোটিশ পাঠাল সিবিআই। সেই নোটিশে সোমবার হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মদন তামাং হত্যাকাণ্ডে প্রত্যেক অভিযুক্তকেই পৃথক পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাড়ির ঠিকানায়। মোর্চা নেতারা মনে করছেন, তাঁদের গ্রেফতার করতেই এই ফাঁদ পাতা হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্টে মদন তামাং হত্যা মামলার শুনানি। সেই শুনানি চলাকালীন যাতে অভিযুক্তরা সবাই উপস্থিত থাকে, তা নিশ্চিত করতে সিবিআইকে তদারকির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইমতো অভিযুক্ত সবাইকেই নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সিবিআই নোটিশ পাঠালেও বিমল গুরুং-রা আদৌ কলকাতায় আসবেন কি না, হাইকোর্টে শুনানি চালাকালীন উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
শুধুমাত্র জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী হাইকোর্টে হাজিরা দেবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তিনি নিজেই আগে জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টে উপস্থিত থাকবেন মদন তামাং হত্যা মামলার শুনানি চলাকালীন। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তিনি সম্মত হয়েছিলেন আদালেত হাজিরার ব্যাপারে। সেজন্য রবিবারই তিনি কলকাতাতে চলে এসেছেন বলে সূত্রের খবর।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে এই তলবের পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের ধারণা, কলকাতায় গেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে। কেননা পাহাড় আন্দোলনে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলাতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে। পাহাড় আন্দোলন স্তব্ধ করতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মোর্চার।
মোর্চা নেতৃত্ব এদিন নোটিশ পাওয়ার পর জানিয়েছে, কলকাতার ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করলে পাহাড়ে ফের আগুন জ্বলবে। সেই আগুন নেভানোর ক্ষমতা রাজ্য প্রশাসনের নেই বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মোর্চার তরফে।