ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মামলাকারী! সময় না দিয়েই কেন মামলা ট্রান্সফার? আলাপন মামলায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় চরম অস্বস্তিতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রাইবুনাল। মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরানো নিয়ে কার্যত একের পর এক তোপের মুখে স্যাট। হঠাত করেই মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় চরম অস্বস্তিতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রাইবুনাল। মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরানো নিয়ে কার্যত একের পর এক তোপের মুখে স্যাট। হঠাত করেই মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ বুধবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির জন্যে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দেয় আদালত এবং মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে কার্যত একের পর এক বিষয়ে সমালোচনা করেন বিচারপতি।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, একদিন সময় না দিয়েই কেন মামলা ট্রান্সফার করা হল? শুধু তাই নয়, এটা কোনও হট রেস নয় বলেও মন্তব্য বিচারপতির।
শুধু তাই নয়, মামলার শুনানিতে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ''আপনাদের কি মনে হয় না যে আপনাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মামলাকারীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে? আলাপনবাবুর দ্রুততা ছিল বলেই তিনি অবকাশের মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আপনাদের তাড়াহুড়ো করার কি দরকার ছিল?''
যদিও এদিন দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। তবে আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যেই এই সংক্রান্ত মামলার নির্দেশ শোনানো হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
গত ২৮ শে মে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ন পর্যালোচনা সভায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় তৎকালীন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' - এর ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর জন্য ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে পারেননি আলাপন। আর তা থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বলে রাখা প্রয়োজন গত ১৬ই জুন আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে ডিওপিটি ( Deperatment of Personnel & Training )। সেই মতো গত ১৮ই অক্টোবর প্রাথমিক পর্যায়ের শুনানির জন্য তাকে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়। যদিও আলাপনবাবুর অনুরোধের সেই শুনানি পিছিয়ে ২ রা নভেম্বর করা হয়েছে।
যদিও এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া খারিজ করার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চে সম্প্রতি মামলা করেন আলাপন বন্ধোপাধ্যায়। কিন্তু 'রহস্যময়' কোনও এক কারনে এই মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরানোর জন্য সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চে আবেদন করেছিল ডিওপিটি। এই আবেদনের ভিত্তিতে গত ২২ শে অক্টোবরই কলকাতা থেকে মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দিল্লি বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আলাপন বন্দোপাধ্যায়।