গাজা যেন মৃত্যুপুরী! ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের মাঝে এবার আসরে আমেরিকা
পর পর অস্ত্রবর্ষণে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের মতো আর্থিক ও সামরিক শক্তিধর দেশের সঙ্গে লড়তে গিয়ে হামাস বাহিনী মটির নিচে একাধিক সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল। বহু বছর ধরে তা গাজা থেকে ইজরায়েল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তবে সাম্প্রতিক এয়ারস্ট্রাইকে তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতাইয়াহুর দেশ। গত সোমবার হামাসের তরফে যে সংহার রূপ দেখা গিয়েছে, তা কার্যত পর পর এয়ারস্ট্রাইকে ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে ইজরায়েল। এরই মাঝে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ময়দানে নামল।
নেতানইয়াহু কী জানিয়েছেন?
এর আগে, যখন মুহুর্মুহু অস্ত্র বর্ষণে ইজরায়েল হামাসের একের পর একইমারত গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তখন গোটা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়েন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। তবে বিশ্বের চোখ রাঙানিকে খুব একটা তোয়াক্কা না করেই তিনি দৃপ্ততার সঙ্গে জানান যে, ইজরায়েল অস্ত্র বর্ষণ চালিয়ে যাবে। সাফ ভাষায় নেতানইয়াহু বলেন, এর শেষ তিনি দেখে ছাড়বেন।
আসরে আমেরিকা
ইতিমধ্যেই ,ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুকে দ্বিতীয়বার ফোন করে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এবার রীতিমতো কোমর কষে এই সংঘাতের আবহে আসরে নেমেছে আমেরিকা। এদিন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুকে জো বাইডেন জানান, নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
কূটনৈতক চালে আমেরিকা!
প্রসঙ্গত বাইডেন এদিন, ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলোচনায় সাফ জানিয়েছেন, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার স্বার্থে সামরিক শক্তি ব্যবহারের নিরিখে আমেরিকা বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর দেশকে সমর্থন করে। তবে জেরুদালেম ঘিরে যাতে শান্তি বর্ষিত হয়, তার বার্তাও বারবার দিয়েছেন বাইডেন। তবে সংঘর্ষ বিরতির পক্ষেই বার্তা দিয়েছেন বাইডেন।
সংঘাতের এক সপ্তাহ
প্রসঙ্গত, গত সোমবার গাজা থেকে হামাস বাহিনী ইজরায়েলেরে মাটি লক্ষ্য করে ৩,৩৫০ টি রকেট লঞ্চ করে। তার জবাবে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর দেশ ২০০ আয়রন ডোম ব্যবহার করে তা প্রতিহত করে। এরপর কোমর বেঁধে নামে ইজরায়েল। বিধ্বংসী এয়ারস্ট্রাইকে তারা গুঁড়িয়ে দেয় হামাসের সুড়ঙ্গ। ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় হামাস নেতার বাসভবন।