সমুদ্র উত্তাল করে ধেয়ে এল ৪৫ ফুটের বিশাল ঢেউ! শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম ঝড় আখ্যা নাসার
ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছে প্রবল সামুদ্রিক ঝড় ‘হাগিবিস’। এই টাইফুন বা সামুদ্রিক ঝড়কে শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম ঘূর্ণিঝড় আখ্যা দিয়েছে নাসা।
ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছে প্রবল সামুদ্রিক ঝড় 'হাগিবিস'। এই টাইফুন বা সামুদ্রিক ঝড়কে শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম ঘূর্ণিঝড় আখ্যা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার কথায়, এই শতাব্দীকে এমন ভয়ঙ্কর টাইফুন হয়নি। প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে সমুদ্রতটে। 'হাগিবিসে'র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জাপানের ইচিহারা শহর।
প্রশাসনিক তৎপরতায় ক্ষয়ক্ষতি কম
প্রশাসনিক
তৎপরতায়
ক্ষয়ক্ষতি
কম
জাপান
প্রশাসনের
তরফে
আগাম
ব্যবস্থা
নেওয়া
হয়েছিল।
তাই
প্রাণহানি
অপেক্ষাকৃত
কম
হয়েছে।
তবে
প্রাণহানি
একেবারে
রুখতে
পারেনি
প্রশাসন।
মৃত্যু
হয়েছে
১১
জনের।
আহত
হয়েছেন
শতাধিক।
মৃতের
সংখ্যা
বাড়ার
আশঙ্কা
রয়েছে।
শনিবার
রাতে
এই
শক্তিশালী
ঝড়
আছড়ে
পড়ার
পর
উদ্ধারকার্য
চালাচ্ছে
প্রশাসন।
প্রবল ঝড়ে ৪৫ ফুট উচ্চতায় ঢেউ
প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছে ‘হাগিবিস'। এই শক্তিশালী টাইফুনের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে নামছে ধস। বিস্তীর্ণ এলাকায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। জাপানের হাওয়া অফিস জানিয়েছে এত বৃষ্টি আগে কখনও দেখেনি জাপান। সমুদ্রের জল্রোচ্ছ্বাসও হচ্ছে। ৪৫ ফুট উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সমুদ্রতটে।
‘হাগিবিসে'র হানা থেকে রক্ষা পেতে
এই শক্তিশালী টাইফুন ‘হাগিবিসে'র হানা থেকে রক্ষা পেতে দেড় কোটিরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তা সত্ত্বেও প্রাণহানি রোখা সম্ভব হল না। মৃত্যুর পাশাপাশি শতাধিক মানুষ জখম হলেন। এখনও অনেক মানুষ আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
‘হাগিবিসে'র তাণ্ডব ইচিহারা শহরে
‘হাগিবিস' সবথেকে বেশি তাণ্ডব চালায় জাপানের ইচিহারা শহরে। এই শহরের ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০টি বাড়ি। বেশ কিছু মানুষের খোঁজ মিলছে না। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। গোতেম্বা শহরে এই ঝড়ের দাপটে ড্রেনে ভেসে গিয়েছে এক ব্যক্তি।