কুইংদাও-তে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক মোদী ও জিনপিং-এর, উঠে এল ঘরোয়া বৈঠকের স্মৃতি
কুইংদাও-তে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
কুইংদাও-তে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এসসিও-র বৈঠক উপলক্ষে কুইংদাও গিয়েচেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সুযোগে ঘরোয়া বৈঠকের পর চিন-ভারত সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা করলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। উঠে এল ইউহানের ঘরোয়া বৈঠকের স্মৃতিও।
মাত্র ছয় সপ্তাহ আগেই চিনের ইউবান শহরে ঘরোয়া বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন মোদী ও জিনপিং। সে বৈঠকে দুদেশের সম্পর্কের উত্তাপ পেরার ইঘ্ঙ্গিত মিলেছিল। তার আগে ডোকালাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ৭৩ দিন সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুদেশের সেন।
শনিবার কুইংদাও-তে দুই নেতাকে দেখে কিন্তু মনে হয়েছে দু'তরফই ডোকালামের দিন ভুলে ঘরোয়া বৈঠকের উষ্ণতাকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। দেখা হতেই হাসিমুখে করমর্দন করেন মোদী ও জিনপিং। একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। দুজনের কথাতেই উঠে এসেছে ইউহান বৈঠকের কথা।
বৈঠকের সুরুতেই মোদী বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সুস্থিত সম্পর্ক সারা পৃথিবীকেই স্থায়ী শান্তির জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে। এর আগে ইউহানের ঘরোয়া বৈঠকে মোদী ও জিনপিং ভবিষ্যতে ডোকালামের মতো পরিস্থিতি এড়াতে দুদেশের সেনাবাহিনীকে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বারাবার নির্দেশ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড় করার কথাও হয়েছিল। হয়েছিল বানিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বাড়ানোর কথা। গতি বাড়ানোর জন্য। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়গুলিই কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে নিয়েই মোদী ও শি কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ডোকালাম ইস্যু ছাড়াও গত কয়েক বছরে চিন ও ভারত এশিয়ার দুই বিশাল দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। একদিকে চিন, ভারতের আবেদন মতো পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারের উপর রাষ্টসঙ্ঘের নিয়েধাজ্ঞা আরোপ আটকে দিয়েছিল। আবার ভারতও চিনের বানিজ্যিক করিডোর নির্মাণে বাধা দিয়েছে। ঘরোয়া বৈঠকের পর বর্তমানে দুই দেশকে দেখে মনে হচ্ছে সম্পর্ক উন্নত করতে সচেষ্ট দু'তরফই।