ইসলামোফোবিয়া? বিনা অপরাধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার মুসলমান ছাত্র
ওয়াশিংটন, ১৬ সেপ্টেম্বর : বিশ্বের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ, অথচ একি কার্যকলাপ? কি বলবেন একে, আধুনিক বর্বরতা নাকি ইসলামোফোবিয়া? নিছক হাতে তৈরি ঘড়ি বাড়িতে বানিয়ে তা স্কুলে নিয়ে গিয়েছিল আহমেদ মোহামেদ নামে এক স্কুল ছাত্র।
টেক্সাসের একটি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র ১৪ বছরের আহমেদের ইচ্ছে ছিল বাড়িতে তার হাতে তৈরি ঘড়ি দেখিয়ে সকলকে চমকে দেবে সে। তবে তা দেখে স্কুলের শিক্ষকরা যে এভাবে ভুল বুঝবেন এবং তাকে গ্রেফতার হতে হবে তা স্বপ্নের কল্পনা করতে পারেনি সে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঝোঁক রয়েছে আহমেদের। মাত্র ২০ মিনিটে সে ওই ঘড়িটি তৈরি করেছিল। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে সে রেডিও-ও তৈরি করেছে।
আহমেদ ভেবেছিল সে এই ঘড়িটি স্কুলে নিয়ে গিয়ে বন্ধুদের ও শিক্ষকদের অভিভূত করবে। স্কুলে গিয়ে ইংরেজির শিক্ষককে সে তার তৈরি ঘড়ি দেখায়ও।
সার্কিট বোর্ডের সঙ্গে একটি ডিজিট্য়াল ডিসপ্লে ও প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস জুড়ে সে ঘড়ি বানিয়েছিল। তা দেখে উৎসাহ দেওয়ার বদলে প্রিন্সিপালের কাছে ঘড়িটি সঙ্গে নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন ওই শিক্ষক। এমনও বলেন, সেটা ঘড়ি নয় বোমা।
এরপরে কিছুক্ষণ যাওয়ার পরই প্রিন্সিপাল পুলিশ ডেকে আনেন ও আহমেদকে আলাদা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই আহমেদ বুঝতে পারে, গায়ের রং ও নামের জন্যই এভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
যদিও সবটা খুলে বলার পরও পুলিশের হয়রানি থেকে মু্ক্ত হয়নি সে। এসবের মাঝেই ঘড়ির অ্যালার্ম দু'বার বেজে ওঠে ও এব্যাপারে লিখিত না দিলে স্কুল থেকে বহিঃষ্কারের হুমকি দেন প্রিন্সিপাল।
জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে অবশেষে আহমেদ মোহামেদকে গ্রেফতার করা হয়। হাতকড়া পরিয়ে অপরাধীদের মতো আহমেদকে জুভেনাইল বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে স্কুল থেকে সাসপেন্ডও করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বোমা বানানোর অপরাধে তার বিরুদ্ধে চার্জও গঠন করা হতে পারে। এব্যাপারে আহমেদের পিতা মোহামেদ এলহাসান জানান, ছেলের নাম আহমেদ মোহামেদ হওয়া ও ৯/১১ মার্কিন হামলার কারণেই এভাবে তার ছেলেকে হয়রানি করা হয়েছে।