ফের কম্পন, এবার ভূমিকম্প চিন আর কিরগিজস্তানে
রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৫.৯
এবার কম্পন অনুভূত হল মধ্য এশিয়ার চিন এবং কিরগিজস্তানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৯। গতকালও প্রায়ই একই তীব্রতায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তান এবং ইরানে। ভূমিকম্পে ৯ জন মারা গিয়েছিলেন ইরানে। আহত হয়েছিলেন একাধিক। পাকিস্তানে ভূমিকম্পের উৎস্যস্থল ছিল কাজাখস্তান। চিন এবং কিরঘিজস্তানে ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি থাকলেও এখনও তেমন ভাবে হতাহতের খবর কিছু পাওয়া যায়নি।
একের পর এক ভূমিকম্প হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। শনিবার গভীর রাতে কেঁপে উঠেছিল ইরান। আজারবাইজান পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পের উৎস্যস্থল ছিল ইরানে খোয়া শহর। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৪। প্রবল কম্পনে ৯ জন মারা গিয়েছিলেন ইরানে। ক্ষতি হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ির। তার পরের দিনই অর্থাৎ রবিবার দুপুরে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। করাচি, রাওলপিন্ডি, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে পাঞ্জাব প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎস্যস্থল ছিল কাজাখস্তান।
তারপরেরদিন আবার ভূমিকম্প। এবার একেবারে চিন এবং কিরঘিজস্তান কেঁপে উঠেছে। চিনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ইউরোপীয়ান সিসমোলজি সেন্টার সেই রিপোর্ট দিয়েছে। চিনের দক্ষিণপূর্ব দিকে ১১১ কিলোমিটার দূরে ছিল তার উৎস্থল। বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে চিনেরক ঝিঝ্যাং প্রদেশে। তার কয়েক মিনিট আগেই কেঁপে উঠেছিল কিরঘিজস্থান। ভোর ৫টা ১৯ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। ভূমিকম্পের উৎস্থল ছিল রাজধানী বিশেক েথকে ১০ কিলোমিটার দূরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা বেশি থাকলেও এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
গত কয়েক মাসে এশিয়ার উপকূল বর্তী দেশগুলিতে পর পর কম্পন অনুভূত হচ্ছে। যেমন ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া। ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প ভয়াবহ হয়েছিল। তাতে প্রায় ১৬২ জন মারা গিয়েছেন। তারপরেও একাধিকবার কম্পন অনুভূত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায়। ভারতের একাধিক শহরে পর পর কম্পন অনুভূত হয়েছে। নেপালেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তাতে ৬ জন মারা গিয়েছিল। বারবার এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা।