পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের মদতের জন্যই আফগানিস্তানের এই পরিণতি, মন্তব্য প্রাক্তন আফগান মন্ত্রীর
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের মদতের জন্যই আফগানিস্তানের এই পরিণতি, মন্তব্য প্রাক্তন আফগান মন্ত্রীর
আফগানিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আতমার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তান এক হাত নেন। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নিন্দা করে তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে কার্যত ব্যর্থ। টুইট করেও হানিফ আতমাক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান ক্রমাগত জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে আফগানিস্তানের করুণ পরিণতি হচ্ছে। পাক প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি জঙ্গিই হয়। জঙ্গিদের ভালো বা খারাপ বলে কিছু হয় না।
পাক ভিত্তিক জঙ্গিদের মদত
হানিফ আতমার বলেন, লস্কর ই তইবা, জইশ-ই মহম্মদ মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তান ব্যর্থ। হানিফ জঙ্গিদের ভালো ও খারাপ বিচার করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান তাদের জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকা থেকে ইচ্ছা করে এলইটির নাম বাদ দিয়েছে। অথচ অন্যান্য বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে বড় ও সক্রিয়। ইউএনজিসিতে বৈঠক রাখতে গিয়ে আফগানিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে একটি জঙ্গি সম্প্রদায় শাসন করছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পাকিস্তানের পাশাপাশি সারা বিশ্বের এই বিষয়ে উদ্বেগ থাকা প্রয়োজন।
পাকিস্তানের জন্য আফগানিস্তানের করুণ পরিণতি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, আফগানিস্তানের পরস্থিতির জন্য শাহবাজ শরিফ দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির দায় পাকিস্তান নেয় না। এরআগে শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আফগানিস্তানের সন্ত্রাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে আন্তঃআফগান আলোচনাকে সমর্থন করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টায় পাকিস্তান আদৌ আগ্রহী কি না।
রাষ্ট্রসংঘে পাক প্রধাানমন্ত্রীর বক্তব্য
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছিলেন, আফগানিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো ক্রমেই পাকিস্তানের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি ইসলামিক স্টেট- খোরাসান (আইএসআইএস-কে) এবং তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি), আল-কায়েদা, ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম), এবং ইসলামিক মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তান (আইএমইউ) সহ বেশ কয়েকটি দলের নাম তুলেছেন। পাক প্রধানমন্ত্রীরএই মন্তব্যের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আফগানিস্তান।
প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্টের মন্তব্য
আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, আফগানিস্তান সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে। বর্তমানে তালিবান আফগানিস্তানে শাসন করছে। পাকিস্তান সরকারের মদতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের নেপথ্যে পরোক্ষে পাকিস্তানের মদত রয়েছে, তা তিনি ইঙ্গিত দেন। পাকিস্তান ক্রমাগত জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে এবং তা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিবিআই ফাঁড়া লালুর ঘরে, এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও