করোনা ভাইরাসের জের, বিশ্বজুড়ে স্কুলে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৩০ কোটি পড়ুয়া!
করোনা ভাইরাসের জেরে আতঙ্কে ভুগছে সারা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জন। এই আবহে জমায়েত রুখতে ও করোনা ভআইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। যার জেরে বাড়ি বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে ৩০ কোটি পড়ুয়া।
চিন ছাড়া আরও ৭০টি দেশে থাবা বসিয়েছে করোনা
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চিন ছাড়িয়ে আরও ৭০টি দেশে থাবা বসিয়েছে। এ দেশেও ওই ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তের খবর সামনে আসতেই ত্রাস ছড়িয়েছে। ভাইরাসের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়েছে আন্তর্জাতিক পর্যটন এবং বিমান পরিবহণে। পাশাাপশি প্রভাব পড়েছে খুদে স্কুল পড়ুয়াদের উপরও। করোনা ভাইরাসের জেরে স্কুল বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে ইতালি। সেদেশে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের জেরে মারা গিয়েছে ১০৭ জন।
ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের উপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব
ভারতের ছাত্র-ছাত্রীদের উপরও করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে ভআলো রকম। বিশেষত দিল্লি বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকার স্কুলগুলিতে। এখনও পর্যন্ত দেশে ২৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। এই অবস্থায় নয়ডায় দুটি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল তিনদিন। ভারত ইতালি ছাড়াও মোট ১৩টি দেশে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। যার জেরে ২৯০.৫ মিলিয়ন পড়ুয়া স্কুলে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস রুখতে স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
এছাড়া স্কুলগুলিকে জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্কুলগুলিতে যেন কোনও বড় জমায়েত না করা হয়। এছাড়াও স্কুলের কর্মী কিংবা কোনও ছাত্রছাত্রীর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে ভ্রমণের খবর রাখতেও বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ২৮ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি সিবিএসই-র
এরই মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল সিবিএসই। পরীক্ষার্থীদের বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে যে করোনা আটকাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে মাস্ক পরে আসার অনুমতি পেল পরীক্ষার্থীরা। সঙ্গে রাখতে পারে স্যানিটাইজারও। এমনিতে সিবিএসই পরীক্ষাকেন্দ্রে কী কী নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে রয়েছে বিশেষ কড়াকড়ি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই কড়াকড়ি একটু শিথিল করা হয়েছে।