লোকসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলের হাতে হাত শিবসেনার, বিজেপির শক্তি-ক্ষয়ে লাভ বিরোধীদের
লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় সামিল হল শিবসেনা। কংগ্রেস ও তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে একাধিক ইস্যুতে অ্যাডজর্মেন্ট মোশন নোটিশ দিল উদ্ধব ঠাকরের দল।
লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় সামিল হল শিবসেনা। কংগ্রেস ও তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে একাধিক ইস্যুতে অ্যাডজর্মেন্ট মোশন নোটিশ দিল উদ্ধব ঠাকরের দল। ফলে সংসদে বিরোধী কণ্ঠস্বর আরও মজবুত হল বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এনডিএ ত্যাগ করে শিবসেনা বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একযোগে সংসদে নোটিশ শিবসেনার
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহকে আটক করার বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভায় অ্যাডজর্মেন্ট মোশন নোটিশ দিয়েছে। সেখানে কংগ্রেসও জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার বিষয়ে লোকসভায় অ্যাডজর্মেন্ট মোশন নোটিশ দিয়েছে। একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে লোকসভায় শিবসেনাও অ্যাডজর্মেন্ট মোশন নোটিশও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে।
মোদীর আহ্বান বিরোধীদের উদ্দেশ্যে
এদিকে, সব দলকে সব বিষয়ে অবাধ বিতর্ক করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে তিনি বলেন, সব দলের উচিত ভারতের ভবিষ্যতের কথা আগে চিন্তা করা। দেশের যাতে ভালো হয়, তার জন্য সংসদে উচ্চ-মানের বিতর্কের প্রয়োজন। তিনি চান সংসদ অধিবেশন ফলপ্রসূ ও ঐতিহাসিক হয়ে উঠুক। সংসদ চলতে সবাই সহযোগিতা করুক।
খোলামেলা বিতর্ক চাইলেন মোদী
মোদী বলেন, আমরা সকল বিষয়ে খোলামেলা বিতর্ক করতে চাই। একটি উচ্চমানের বিতর্ক প্রয়োজন এবং আমি আশা করি প্রত্যেকে সংসদ তাঁদের দক্ষতার শীর্ষে উঠে তাঁদের সবথেকে ভালোটা প্রদর্শন করবেন অধিবেশনে। তাহলেই ভারতকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
শিবসেনা বিরোধী আসনে
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, শিবসেনা সাংসদদের সংসদের উভয় সভায় বিরোধী পক্ষে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। কারণ শিবসেনার মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার থেকে। এবং তারা মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস ও এনসিপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
১৮ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর অধিবেশন
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনে প্রায় ৩৫টি আইন গ্রহণ করা হবে এবং ২০ দিন অধিবেশন বসবে। ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে অধিবেশন। সংসদে বর্তমানে ৪৩টি বিল বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ১২ টি বিল বিবেচনার জন্য এবং পাস করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং সাতটি প্রত্যাহারের জন্য তালিকাভুক্ত রয়েছে।