পুলিশের আবেদন খারিজ করে সায়নী ঘোষকে জামিন আদালতের, সত্যের জয়, বললেন নেত্রী
দীর্ঘ শুনানি শেষে সায়নী ঘোষের জামিন মঞ্জুর করল ত্রিপুরা আদালত। শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আর জামিন পাওয়ার পরেই প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই সত্যের জয় বললেন সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে তাঁর জামিন মঞ্জুর হতেই কার্যত স্বস্তি
দীর্ঘ শুনানি শেষে সায়নী ঘোষের জামিন মঞ্জুর করল ত্রিপুরা আদালত। শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আর জামিন পাওয়ার পরেই প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই সত্যের জয় বললেন সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে তাঁর জামিন মঞ্জুর হতেই কার্যত স্বস্তির ছবি দেখা যায় তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের মুখে।
যদিও জামিন পাওয়ার পরেই নতুন করে আতঙ্ক আদালত চত্বরে। দাবি, আদালতের বাইরে সায়নীর উপর ফের হামলা হতে পারে। আর সেই কারনেই নিরাপত্তা চেয়ে ত্রিপুরা পুলিশে উচ্চপদে আবেদন তৃণমূল নেতৃত্বের।
রবিবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের। রবিবার সকালেই সায়নী ঘোষের হাসপাতালে পৌঁছে যায় ত্রিপুরা পুলিশ। অভিযোগ, শনিবার রাতেই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্যে ফোন করা হয়। কিন্তু তা না করার জন্যে হোটেলেই চলে আসেন মহিলা থানার আধিকারিকরা।
এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার করা হয় সায়নীকে। কিন্তু সায়নীকে আটকের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে থানা সংলগ্ন এলাকা। নিরাপত্তার আশঙ্কায় কোনও রকমে এক জায়গা থেকে অন্য থানাতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সায়নীকে।
সোমবার সকালে আদালতে তোলা হয় সায়নীকে। শুনানিতে পুলিশের তরফে নেত্রীকে দুদিনের হেফাজতে চাওয়া হয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত সায়নী ঘোষের জামিন মঞ্জুর করে। শর্তসাপেক্ষে এই জামিন মঞ্জুর করা হয়। জানা গিয়েছে, ৩০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মামলার তদন্তে সবরকম সাহায্য করার জন্যে সায়নীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জামিন পাওয়ার পরেই সায়নী বলেন, এই জয় সত্যের জয়। ভিত্তিহীন সমস্ত অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেওয়াতে ধন্যবাদ। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা ছিল। তা প্রমাণিত হল বলেও মত সায়নী। তবে লড়াই জারি থাকবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। কোনও জায়গাতেই পিছিয়ে আসার জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কুনাল ঘোষ বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনও দিন কাউকে আটকে রাখা যায় না, প্রমাণিত হল। শুধু তাই নয়, সায়নী ঘটনায় প্রমাণিত হল যে বিপ্লব দেবের সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ। হামলা-মামলা ছাড়া কিছু বোঝে না।
অন্যদিকে, ত্রিপুরার মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেলে পুরভোটে খাতা খুলতে পারবে না বিজেপি। ত্রিপুরাতে বসে সরাসরি বিপ্লব দেবকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আগরতলায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেকের দাবি, ত্রিপুরায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে পুরভোট হলে কোনও ওয়ার্ডেই জিততে পারবেন না বিজেপি-র প্রার্থীরা। এদিন ত্রিপুরাতে সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। জানা যাচ্ছে, আগামী রণকৌশল নিয়ে সায়নী সহ সমস্ত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড।