মোদীকে হারিয়ে বাড়তি মোটিভেশন পেলেন রাহুল, ২০১৯-এর আগে একক যুদ্ধ-জয়
নরেন্দ্র মোদীর দলের বিরুদ্ধে এমন জয় পেয়ে লোকসভা ভোটের আগে উচ্ছ্বসিত রাহুল শিবির। লোকসভার আগে এই এই জয়ে কংগ্রেস আলাদা মোটিভেশন পাবে বলেই বিশ্বাস রাহুল গান্ধীর।
একার ক্ষমতাতেই বিজেপিকে হারিয়ে দিল কংগ্রেস। বিধানসভায় না পারলেও পুরভোটে কংগ্রেসই জয়ী। নরেন্দ্র মোদীর দলের বিরুদ্ধে এমন জয় পেয়ে লোকসভা ভোটের আগে উচ্ছ্বসিত রাহুল শিবির। লোকসভার আগে এই জয়ের ফলে যেমন মিলবে বাড়তি অক্সিজেন, তেমনই এই জয়ে কংগ্রেস আলাদা মোটিভেশন পাবে বলেই বিশ্বাস রাহুল গান্ধীর।
কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার থাকলেও শহরাঞ্চলে বিজেপির আধিপত্য ছিল বরাবর। সেই নিরিখে পুরভোটে বিজেপি জয়ী হবে এটাই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি ভালো ফল করেছিল শহরাঞ্চলে। সমগ্র কর্ণাটকে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছিল শহরাঞ্চলে ভালো রেজাল্ট করার জন্যই।
সেই নিরিখে পুরভোটে কংগ্রেসের শীর্ষে উঠে আসা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাছে ইতিবাচক দিক। যদিও ইয়েদুরাপ্পা এদিন হার স্বীকার করেও বলেছেন ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপির অন্যরকম রেজাল্ট দেখবেন কর্ণাটকে। তবু সমগ্র দেশের কাছেই কংগ্রেস পুরসভা নির্বাচনে একক শক্তি হিসেবে কংগ্রেসের বিজেপিকে হারানো অন্য ইঙ্গিতই করছে। ইঙ্গিত করছে বিজেপির জনপ্রিয়তা কমছে। কমছে মোদীর জনপ্রিয়তা।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে টপকে কর্ণাটকে শীর্ষে কংগ্রেস! অবশেষে হার স্বীকার 'পাপ্পু' রাহুলের কাছে]
সামনেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে নির্বাচন। দুটিই বিজেপিশাসিত রাজ্য। এরপর এই দুই রাজ্যেও যদি বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ে, তাতে মোদী শিবির জোর ধাক্কা খাবে ২০১৯-এর মুখে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কর্ণাটক থেকেই জোট রাজনীতির শপথ নিয়েছিলেন। ফের সেই কর্ণাটকেই মোদীকে হারানোর সাধ পেলেন। মহাযুদ্ধের আগে তাই 'অ্যাডভান্টেজ' রাহুল গান্ধী।
[আরও পড়ুন:কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! দুটো বড় উইকেট পড়ার আশায় মুকুল]
রাহুলের কংগ্রেস ও কুমারস্বামীর জেডিএস এককভাবে লড়লেও পুরবোর্ড তারা গঠন করবেন জোটসঙ্গী হয়েই। লোকসভা নির্বাচনেও তারা জোট বেঁধে লড়বেন। কংগ্রেস একা লড়ে বিজেপিকে হারানোর পর জেডিএসকে সঙ্গী করে আরও বড় সাফল্য আনতে পারবেন বলে বিশ্বাস রাহুলের। এদিকে কুমারস্বামী বলেন, শহরাঞ্চলে বিজেপির আধিপত্য ছিল, সেখানে কংগ্রেস ও জেডিএসের জয় মানে তাদের জোট সরকারকে সমর্থন করছেন রাজ্যের মানুষ।
City voters normally vote for BJP, but with the outcome of this result, now even city voters have shown full support for the coalition govt led by Congress & JDS: HD Kumaraswamy, Karnataka CM, on #KarnatakaLocalBodyElections results pic.twitter.com/BoaDsQAoVF
— ANI (@ANI) September 3, 2018
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ২,২৬৭টি পুরসভা আসনে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ৯৮২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ৯২৯টি আসন। জেডিএসের দখলে গিয়েছে ৩৭৫টি আসন। ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ডে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট গড়ে বোর্ড করবে। এই রাজ্যের ১০০টি পুরসভা ও পুরনিগমের অধিকাংশই কংগ্রেস-জেডিএসের দখলে চলে যাবে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে অ্যাসিড হামলা, টুমকুরে জখম অন্তত ১০]