বিজেপিকে টপকে কর্ণাটকে শীর্ষে কংগ্রেস! অবশেষে হার স্বীকার ‘পাপ্পু’ রাহুলের কাছে
বিধানসভা নির্বাচনে সম্মুখ সমরে কংগ্রেস হারাতে পারেনি বিজেপিকে। কর্ণাটক বিধানসভার সর্ববৃহৎ দল ছিল মোদীর বিজেপিই। কিন্তু পুর-ভোটে হিসেব উল্টে দিল কংগ্রেস।
বিধানসভা নির্বাচনে সম্মুখ সমরে কংগ্রেস হারাতে পারেনি বিজেপিকে। কর্ণাটক বিধানসভার সর্ববৃহৎ দল ছিল মোদীর বিজেপিই। কিন্তু পুর-ভোটে হিসেব উল্টে দিল কংগ্রেস। এবার রাহুল গান্ধীর কাছে সরাসরি হার হল নরেন্দ্র মোদীর। জোট করে নয়, একাই বিজেপিকে হারালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার আগে মোদীকে হারিয়ে পেয়ে গেলেন বাড়তি অক্সিজেনও।
সকাল থেকেই কড়া টক্কর হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির। বেলা শেষে জয়ের হাসি হেসেছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের আগে কর্ণাটক পুরসভা নির্বাচনে এই জয় রাহুল গান্ধীর বাড়তি পাওনা। শেষমেশ হারের পর বিজেপির পক্ষ থেকে হার স্বীকার করে নেওয়া হল। বিধানসভায় সরকার গঠনের লড়াইয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের কাছে হার স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এবার কংগ্রেসের কাছে পুরভোটে হার স্বীকার করলেন প্রাক্তন ওই মুখ্যমন্ত্রী।
কংগ্রেসের কাছে হার স্বীকার করে তিনি বলেন, পুরভোটে তাদের হারতে হলেও ২০১৯-এ রাজ্যে বিজেপির ফল অন্যরকম হবে। ২০১৯-এ বিজেপিকেই জয়যুক্ত করবেন কর্ণাটকের মানুষ। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের শহরাঞ্চলে বিজেপিরই আধিপত্য ছিল। সেখানেও ধাক্কা খেল বিজেপি। নেমে গেল দ্বিতীয় স্থান। প্রথম স্থানে উঠে এল কংগ্রেস। আর জেডিএস যথারীতি তৃতীয় স্থানে। এককভাবে লড়লেও কংগ্রেস ও জেডিএস জোট বেঁধেই বোর্ডে গড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! দুটো বড় উইকেট পড়ার আশায় মুকুল]
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ২,২৬৭টি পুরসভা আসনে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ৯৮২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ৯২৯টি আসন। জেডিএসের দখলে গিয়েছে ৩৭৫টি আসন। ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ডে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট গড়ে বোর্ড করবে। এই রাজ্যের ১০০টি পুরসভা ও পুরনিগমের অধিকাংশই কংগ্রেস-জেডিএসের দখলে চলে যাবে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত প্রশ্নে নমনীয় তৃণমূল! নাম নির্বাচন নিয়ে সমাধান সূত্র বাতলে দিলেন মমতা]