অ-মুসলিম নাগরিকত্ব বিল পাস করাতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী সরকার, চাপ বাড়াবে উত্তর পূর্বের শরিকরা
অ-মুসলিম নাগরিকত্ব বিল পাস করাতে মরিয়া মোদী সরকার, চাপ বাড়াবে উত্তর পূর্বের শরিকরা
অসমে এনআরসি চালু নিয়ে উত্তর পূর্বের শরিকদের কাছে অনেকটাই চাপে রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। তার উপরে মোদী সরকার অ-মুসলিম নাগরিকত্ব বিল পাস করাতে চাইছে। তাতে উত্তর পূর্বের শরিকরা আরও চাপ বাড়াবে বিজেপির উপর এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পাস করাতে মরিয়া মোদী সরকার।
উত্তর পূর্বে শরিকি চাপ বাড়ছে
শরিক সংকটে জর্জরিত বিজেপি। একদিকে শিবসেনার সঙ্গে জোটে ফাটল। অন্যদিকে আবার ছত্তিশগড়েও শরিকরা মুখ ফেরাতে শুরু করেছে। এবার শোনা যাচ্ছে উত্তর পূর্বেও শরিকি জট তৈরি হয়েছে বিজেপির। অ-মুসলিম নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে। বাংলােদশি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বিজেপি এই বিল পাস করাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর পূর্বের রাজনৈতিক দলগুলি। এনআরসি নিয়ে আগে থেকেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যে।
কী রয়েছে অ-মুসলিম নাগরিকত্ব বিলে
অ-মুসলিম নাগরিকত্ব বিলের বিষয়বস্তু আসলে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত অ-মুসলিম বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দান করা। এই অ-মুসলিমদের মধ্যে পড়ছে হিন্দু, জৈন, খ্রিশ্চান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি। আগের নিয়ম অনুযায়ী এই সব দেশের বাসিন্দারা ভারতে ১১ বছর বসবাস করলেই তাঁরা এদেশের নাগরিক হিেসবে গন্য হন। সেই সময়সীমা কমিয়ে ৬ বছর করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। সেকারণেই এই সংশোধনী বিল পেশ করা হচ্ছে। এই বিল পাস হলে ১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইন অনুযায়ী ভারতে বসবাসকারী এই সব সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের গ্রেফতারও করা যাবে না এবং তাঁদের দেশের ফেরতও পাঠানো যাবে না।
উত্তাল উত্তর-পূর্ব
২০১৬
সালে
এই
বিল
পেশের
পরেই
উত্তাল
হয়ে
উঠেছিল
উত্তর
পূর্বের
রাজ্যগুলি।
অসম,
মণিপুর,
নাগাল্যান্ড,
মেঘালয়ে
প্রতিবাদ
শুরু
করেছিলেন
বাসিন্দারা।
সেখানকার
রাজনৈতিক
দলগুলিও
এর
প্রতিবাদে
সরব
হয়েছিল।
গত
শুক্রবারও
একই
ইস্যুতে
আন্দোলনে
গুয়াহাটির
রাস্তায়
বিক্ষোভ
দেখিয়েছে
অসম
স্টুডেন্ট
ইউনিয়ন।
এই
বিল
পাস
হলে
দেশে
সাম্প্রদায়িক
হিংসা
বাড়বে।
এই
নিয়ে
আন্দোলনে
সামিল
হয়েছিল
উত্তর-পূর্বে
বিজেপির
শরিক
দলগুলিও।