বিয়েতে পণ প্রথা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ, এই মুচলেকা না দিলে খোয়াতে পারেন সরকারি চাকরি
বিয়েতে পণ প্রথা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ, এই মুচলেকা না দিলে খোয়াতে পারেন সরকারি চাকরি
বিয়ে পণ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এমনকী পণ ছাড়া বিয়ে নিয়ে একাধিক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন থেকে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান, আন্দোলন। এবার বিয়েতে পণ রদে কড়া পদক্ষেপ নিল কেরল সরকার। সূত্রের খবর, সরকারি কর্মীদের বিবাহে পণ না নেওয়ার মুচলেকা দিতে নির্দেশ দিল কেরলে সরকার। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
দিতে হবে মুচলেকা
সূত্রের খবর, নয়া সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, বিয়ের এক মাসের মধ্যে এই মুচলেকা জমা দিতে হবে সরকারের নির্দিষ্ট দফতরে। এমনকী মুচলেকায় সই থাকতে হবে স্ত্রীর, সই করতে হবে শ্বশুর ও পাত্রের বাবাকে। কেরল সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে সমাজের প্রগতিশীল মানুষেরা ইতিমধ্যেই পিনরাই বিজয়ন সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে কড়া সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে প্রতিক্রিয়াশীলদের।
বছরে দুবার রিপোর্ট জমা
এদিকে সরকারের নয়া নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে বছরে সঠিক ভাবে এই কাজ হচ্ছে কিনা তা জানাতে বছরে দুবার নির্দিষ্ট দফতরগুলিতে রিপোর্ট জমা করতে বিভিন্ন সরকারি বিভাগকে। এপ্রিল ও অক্টোবর, বছরের এই দুই অর্ধে করতে হবে রিপোর্ট জমা। জেলার পণ-রোধী অধিকারিকের দফতরে এই রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই যদি দেখা যায় কোনও সরকারি কর্মী বিয়ের জন্য পণ নিয়েছেন তাতে তার চাকরি পর্যন্ত চলে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
পণ নিষিদ্ধকরণ সংশোধনী নিয়ম কার্যকর করেছে সরকার
সম্প্রতি কেরলে নিষ্ঠুর পণপ্রথার জন্য একাধিক নক্কারজনক ঘটনা সামনে আসে। একাধিক বিবাহিত মেয়ের মৃত্যু, আত্মহত্যার জেরে ব্যাপাক আলোড়ন তৈরি হয় সমাজের বিভিন্ন মহলে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার। এমনকী সম্প্রতি পণ নিষিদ্ধকরণ সংশোধনী নিয়ম, ২০২১ কার্যকর করেছে সরকার। আর এই নিয়মের হাত ধরেই সমাজে বদল আনতে চাইছে সরকার। এই সংশোধনীতেই জোরের সঙ্গে বলা হয়েছে পণ দেওয়া ও নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
না মানলে কড়া শাস্তি
এমনকী চাকরি খোয়ানোর পাশাপাশি এর শাস্তি স্বরূপ ৫ বছরের জেলর, জরিমানা সবচেয়ে কম ১৫ হাজার টাকা বা পণের সমপরিমাণ জরিমানা হতে পারে। এদিকে জেলার পণ-রোধী অধিকারিক হিসাবে কারা কাজ করতে পারেন তাও স্পষ্ট করেছে সরকার। নয়া নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে মহিলা ও শিশুকল্যান দফতরের আধিকারিকেরাই মূলত এই কাজ সামলাবেন। পাশাপাশি তাদের সঙ্গত দেবেন অন্যান্য শাখার আমলারাও।