সমকামী অধিকার নিয়ে আদালতের রায়ের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে : অরুণ জেটলি
নয়াদিল্লি, ২৯ নভেম্বর : বিতর্কিত সমকামিতা আইন নিয়ে প্রকাশ্যে ফের এতবার মুথ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০১৪ সালে সমকামিতা আইন নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখা উচিত। [সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ, জানাল শীর্ষ আদালত, অসন্তোষ সর্বস্তরে]
টাইমস লিটফেস্ট অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে সমকামী আইনের প্রসঙ্গ তোলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, "যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং তাদের ভাবধারা এই আইনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তখন একধাক্কায় তার বিচার কখনওই করা য়ায় না।" এমনকী তিনি এও বলেন আদালত রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে এক্ষেত্রে। [৩৭৭ ধারার বিরোধিতায় রিভিউ পিটিশন জমা দিল কেন্দ্র]
উল্লেখ্য , সমকামিতা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানায়, সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ। এবং ৩৭৭ ধারা বহাল রাখাও সিদ্ধান্ত জানায় শীর্ষ আদালত। আর তাতেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও। কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানায়। [সমকামীদের 'স্বাভাবিক' বানাতে কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা গোয়া মন্ত্রীর]
এদিন অনুষ্ঠানে অরুণ জেটলি আরও বলেন, "ভারতের বিচারব্যবস্থা, আদালত সবসময় মানুষের বাক স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে। এই বিষয়ে আমরা ইউকোপের আদালতের সঙ্গেও প্রতিযোগীতা করতে পারি।" [ (ভিডিও) ভারতের প্রথম 'লেসবিয়ান' বিজ্ঞাপন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া!]
এদিকে অরুণ জেটলির মন্তব্যের পর এনিয়ে ফের একবার সমকামিদের অধিকার নিয়ে তর্ক মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। কংগ্রেস নেতা মনীষ তিওয়ারি জানিয়েছেন, সরকার যদি সমকামিতা অধিকার নিয়ে সত্যিই গম্ভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে তাহলে তাদেক শুধু মাত্র ৩৭৭ ধারাকে বাতিল করতে হবে। [সমকামী হওয়ার অপরাধে আমেদাবাদে দুই পুলিশের হাতে ধর্ষিত যুবক]
কারণ সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরও সংসদের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল নতুন করে আইন পাশ করে সমকামিতাকে মান্যতা দেওয়ার অধিকার লোকসভার রয়েছে। তবে মুখে সমকামিতাকে সমর্থনের কথা বললেও কেন্দ্র কেন এই আইনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। [কংগ্রেস নেতাদের সমকামী তকমা দিয়ে ফের বিতর্কে বাবা রামদেব]