মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে আপের ভগবন্ত মানকে খোঁচা কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চান্নির
মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে আপের ভগবন্ত মানকে খোঁচা কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চান্নির
ফগওয়ারায় কংগ্রেস কর্মীদের মিটিং থেকে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী মুখকে একহাত নিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু ভগবন্ত মান-কেই নয় সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকেও একহাত নেন চরনজিৎ সিং চান্নি৷ কয়েকদিন আগেই পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ভগবন্ত মানের নাম ঘোষণা করেছে আপ৷ এবং এই ঘোষণা পদ্ধতিও ছিল বেশ চমকপ্রদ৷ আম আদমি পার্টি ঘোষণা করেছিল তারা জনগণের ভোটেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ বাছবে৷ এবং সেভাবেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে আপের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হয়েছেন ভগবন্ত মান।
আপের মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণার পরই মানকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস৷ তিনি কংগ্রেসের কর্মী সভায় বলেন, 'প্রথমে কেজরিওয়াল প্রচুর টাকা খরচ করলেন গোটা পাঞ্জাবে পোস্টার লাগানোর জন্য৷ এবং সেখানে লেখা হল এবার একটা সুযোগ কেজরিওয়ালকে দিন৷ তারপর ওরা যখন বুঝতে পারল কেজরিওয়ালকে পাঞ্জাবের মানুষ সমর্থন করবে না তখন ভগবন্ত মানকে সামনে নিয়ে আসা হল মুখ্যমন্ত্রী করে৷' এভাবেই আম আদমি পার্টিকে কটাক্ষ করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও এর আগেই প্রাক্তন আপ নেতা ও কবি কুমার বিশ্বাস যিনি একসময় কেজরিওয়ালের কাছের বন্ধু ছিলেন তিনি পাঞ্জাবের ক্ষমতা পাওয়া নিয়ে কেজরিওয়ালের চাওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন৷
এরপর ভগবন্ত মানের মদ্যপানের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী চান্নি। তবে শুধু মান নয় সঙ্গেই গতবছরও তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী থাকস অমরিন্দর সিংকেও নিশানা করেন চান্নি৷ তিনি বলেন, 'বিকেল চারটের সময় নিজের দোকান বন্ধ (মুখ্যমন্ত্রী অফিস) করে পার্টি করতে চলে যেতেন অমরিন্দর সিং। চারটের পর তাকে অফিসে পেত না কেউ! অমরিন্দরের সঙ্গে ভগবন্ত মানের পার্থক্য একটাই, এ বিকেল ৬টার পর পার্টি শুরু করে। কিছুদি আগে আপ সমর্থকদের একটি গাড়ি উল্টে যায়। এবং দেখা যায় ভেতর সব কজনই মদপ্য ছিল।
তবে এখানেই থামেননি চান্নি, তিনি আরও বলেন যে সাংসদ হওয়ার পরও এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে পাওয়া যায় না মানকে৷ অন্যদিকে আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রায় বিনিদ্র রজনী কাটাই৷ প্রসঙ্গত মানের মদ্যপান নিয়ে তার দলেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ এমন কি পাঞ্জাব বিধাবসভা স্পিকারের কাছেও অভিযোগ জাম পড়েছে৷