চিনা নাগরিকদের বেআইনি ভিসা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা চিদম্বরম পুত্রের
এমনিতেই কংগ্রেস দল ব্যাপকভাবে সমস্যায়। কোনদিক দিয়ে দলের ভাঙন রোখা যাচ্ছে না, সম্প্রতি দল ছেড়ে সমাজবাদি পার্টির হাত ধরেছেন দলের বরিষ্ঠ নেতা কপিল সিব্বল। প্রবল সম্ভাবনা আছে যে গুজরাত নির্বাচনের আগে দল ছাড়বেন হার্দিক প্যাটেলও। রোজ ইঙ্গিত দিচ্ছেন দল ছাড়ার। এমন সময়ে আরও একটা বড় জায়গা পেয়ে গেল বিজেপি। সৌজন্যে কার্তি চিদম্বরম। তাঁকে বেআইনি ভিসা মামলায় ডেকে পাঠায় সিবিআই। আজ বৃহস্পতিবার তিনি হাজিরাও দেন সিবিআই দফতরে।
একেই বেআইনি ভিসা করিয়ে দেওয়া বিষয়টাই ভয়ঙ্কর দোষের কাজ। তার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলে তথা সাংসদ কার্তি চিদম্বরমের নাম। সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চিনা নাগরিকদের বে-আইনিভাবে ভিসা পাইয়ে দিয়ে সাহায্য করেছেন।
সরাসরি যোগ যদি নাও থাকে কোনও একটা যোগ কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার এমন দেশের লোকদের ভিসা পাওয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে যার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কার্যত সাপে নেউলে বললেও ভুল হয় না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিনের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন। আর সেই সেই দেশের লোকেদের বেআইনি ভাবে ভিসা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের অর্থ এর প্রভাব কংগ্রেসের ভাবমূর্তিতে যে আবার পড়বে তা স্পষ্ট।
জানা গিয়েছে যে কার্তি চিদম্বরমকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই। কার্তি চিদম্বরম ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং তার বিনিময়ে ২৫০ জন চিনা নাগরিককে বেআইনিভাবে ভিসা পাইয়ে দিয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কার্তি ঘর বাড়ি অফিসে খানা তল্লাশি চালায় সিবিআই।
জানা গিয়েছিল দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে চালানো হয়েছিল তল্লাশি। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় কার্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী এস ভাস্কররামনকে। কথায় বলে কান টানলে মাথা আসে ঠিক তেমনভাবেই খবর মিলছে যে ভাস্কররামনকে জেরা করতেই কার্তি নিয়ে নানা তথ্য আসে সিবিআইয়ের হাতে। এর ভিত্তিতেই এদিন তলব করা হয় তাঁকে।
সিবিআই দফতরে এসে কার্তি বলেন যে, "আমি জীবনে একজনও চিনা নাগরিককে ভিসা পাইয়ে দিইনি। আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই। পুরোটাই ফালতু। রাজনৈতিকভাবে বিরোধী , তাই এজেন্সি দিয়ে আমাকেকে হেনস্থা করা হচ্ছে ।"