কর্ণাটকের ভোট শাপে বর, ২০২৯ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি, জেনে নিন তাদের হিসেব
২০১৯-এ বিজেপি বনাম সবাই হলেও, বিজেপি মনে করে কর্নাটকের ভোটের ফলে দলের আখেরে লাভ হবে এবং বিজেপি ২০২৯ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) নির্বাচন পরবর্তী জোটের কাছে আটকে গেছে বিজেপি। কর্ণাটকের সাফল্যে উজ্জীবিত আঞ্চলিক দলগুলি। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ঠেকানোর রাস্তা পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করছে তারা। বিজেপি কিন্তু এতে ঘাবড়াচ্ছে না। বরং তাদের দাবি, করণাটকে কংগ্রেসের দৈনতা স্পষ্ট হয়েছে। ২০১৯-এ বিজেপির জেতার রাস্তাটা পরিষ্কার হয়েছে।
বিজেপির মতে আগামী লোকসভায় ২৫০ টি সিট পেলেই সরকার গড়ার ব্যাপারে নিরাপদ থাকবে দল। এনডিএ-র বাকি দলগুলির ওপর বিশেষ ঙরসা নেই তাদের। বিজেপির হিসেব বলছে, শিরোমনি অকালি দল, শিবসেনা, পিডিপি ও উত্তর পূর্বের ছোট দলগুলি মিলিয়ে আর ২০-২৫ টি আসন দেবে। তারা বলছে এই হারে শাপে বর হয়েছে। তারা নিজেদের শক্তির পাশাপাশি দুর্বলতাগুলোকেও এবার চিহ্নিত করতে পারবে। তারা মনে করছে আর লোকপ্রিয় প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটকে কিভাবে মোকাবিলা করা যাবে সে দিকেও নজর দিতে হবে।
তবে কর্ণাটকের এই ভোট, বা বলা ভাল তার পরের ঘটনাক্রম কংগ্রেসের দৈনতাও প্রকাশ করে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। তাদের মতে, কর্ণাটকে জেডি (এস)-এর থেকে অনেক বেশি আসন নিয়েও তাদের কাছেই মাথা নত করে নিজেদের পায়েই কুড়ুল মেরেছে কংগ্রেস। এতে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছেছে, জেতাটা কংগ্রেসের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, যেন তেন প্রকারে বিজেপিকে ঠেকানোটাই আসল। বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন, এই নেতিবাচক মানসিকতা থাকলে তাকে মেনুষ কেন ভোট দেবে? ২০১৯-এর ভোটে যারা জিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে নয়, আরেকটি রাজনৈতিক দলকে আটকাতে চাইছে, এই দেখেই তো মানুষ আর কংগ্রেসকে ভোট দেবে না। ফলে ২০১৯ লোকসভায় কংগ্রেসের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হবে বলে দাবি বিজেপির। তাছাড়া কর্ণাটকে আঞ্চলিক দলগুল্ রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। দেখেছে, ছোট দল হয়েও মুখ্য়মন্ত্রীর পদ নিয়েছে জেডি (এস)। কাজেই এরপরও পরিস্থিতি তৈরি হলে কী তারা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইবে? বরং কর্ণাটক তাসেই সেই পদ দখল করতে চাইবে তারা।
আর
আঞ্চলিক
দলগুলিকে
বিজেপি
ধর্তব্যের
মধ্যেই
রাখতে
চাইছে
না।
তাদের
দাবি,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজের
রাজ্যে
গনতন্ত্রকে
খুন
করছেন,
আর
দেশকে
পরামর্শ
দিচ্ছেন
বিজেপির
হাত
থেকে
গনতন্ত্রকে
রক্ষা
করার!
মানুষ
তাদের
কথা
শুনবে
কেন?
পাশাপাশি
নিজেদের
অন্তর্কলহেই
শেষ
হয়ে
যাবে
তাদের
ফ্রন্ট
গড়ার
স্বপ্ন।
বি
বিজেপির
দাবি
এই
রামধনু
মার্কা
জোট
সরকারের
কী
ভবিষ্যত
হয়,
১৯৯৬-৯৭-এর
সময়
থেকেই
সবাই
জানে।
বিজেপির
আশা,
২০১৯-এও
সেবারের
মতোই,
নেতা
বাছতেই
গা
উজার
হয়ে
যাবে
ফ্রন্টের।
তাই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট কার্যত বিজেপির বনাম ভারতের সব দল হলেও তারা ঘাবড়াচ্ছে না বলেই দাবি বিজেপি নেতাদের। বরং বলছেন, এরকম চ্যালেঞ্জই ভালবাসেন মোদী-শাহ জুটি। চাপের মুখেই তাঁদের সেরাটা বেরিয়ে আসে। আর তাই অন্তত ২০২৯ পর্যন্ত ভারতে রাজ করবে বিজেপিই, বলে দিচ্ছেন তারা।