আত্মহত্যা নয়, অভিনেত্রী শিখা যোশীর খুন করা হয়েছে, অভিযোগ ভাইয়ের
মুম্বই, ২০ মে : ক্রমশ রহস্যজনক হচ্ছে, মুম্বইয়ের অভিনেত্রী শিখা যোশীর মৃত্যু রহস্য। প্রাথমিক তদন্ত, শিখার গলার ক্ষত এবং তাঁর শেষ বয়ান হিসাবে রেকর্ড করা ভিডিও-র ভিত্তিতে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন শিখা। যদিও শিখার ভাই অভিযোগ তুলছেন খুনের। ['বিএ পাশ' অভিনেত্রী শিখা যোশীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাড়িতেই মিলল গলা কাটা দেহ়়]
শিখার ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁর বোন যথেষ্ট শক্ত মনের ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের পিছনে অভিযুক্ত ডাক্তার ও শিখার ফ্ল্যাটমেটকে দায়ী করেছেন তিনি। পুলিশের তরফেও অবশ্য খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। [শেষ বয়ানে এক চিকিৎসককে দায়ী করে গেলেন আত্মঘাতী অভিনেত্রী]
২০১১ সালে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন শিখা। অভিযোগে বলেছিলেন, চিকিৎসার জন্য ওই চিকিৎসকের ক্লিনিকে গেলে অযাচিতভাবে তাঁকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন ওই চিকিৎসক।
এর আগে ২০১২ সালে এবং ২০১৩ সালের নভেম্বর শিখা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই চিকিৎসকের বাড়িতে ইঁট পাটকেল ছোঁড়ার অপরাধে শিখাকে জেলেও যেতে হয়েছে একবার। তবুও শিখা আত্মহত্যা করেননি বরং ওই ডাক্তার এবং ফ্ল্যাটমেট মধু হারতিই তাঁকে খুন করেছেন বলে দাবি ভাইয়ের।
তখন যদি ওই চিকিৎসকের শাস্তি হত তবে এই ঘটনা ঘটত না বলেও অভিযোগ তুলেছেন শিখার ভাই।
এদিকে শিখার ফ্ল্যাটমেট মধু পুলিশকে জানিয়েছেন, শিখার আত্মঘাতী হওয়ার সময় তিনিই একমাত্র বাড়িতে ছিলেন। আর তাই তিনি যদি এই ঘটনায় ফেঁসে যান সে কথা চিন্তা করেই শিখার বয়ান তিনি মোবাইলে রেকর্ড করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের কথায়, মধুরক রেকর্ড করা অডিও টেপ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর ফোনের সমস্ত রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার কার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাও দেখা হচ্ছে। মধুর সঙ্গে ওই ডাক্তারের কোনও সম্পর্ক বা যোগাযোগ ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককেও জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারসোভা থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক।