আট বছরে সবথেকে নিচে নামতে চলেছে চলতি ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধির হার!
সম্প্রতি অর্থনীতিবিদদের এক সমীক্ষা করা হয়। ২০ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চলা এই সমীক্ষায় দেখা যায় যে অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছে যে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার চলতি ত্রৈমাসিকে ২.১ শতাংশ রয়েছে। ২০১২ সালের পর এত কম প্রবৃদ্ধির হার এই প্রথম। অবশ্য সেবারের হারও এইবারের থেকে অনেকটাই ওপরে ছিল।
২০২০-২১ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক থাকবে
কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি ২০২১ অর্থবছরে ভারতের মোট জিডিপি যে বড় ধাক্কা খাবে তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ২০২০-২১ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক থাকবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন আরবিআই গভর্নর। অবশ্য তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে আর্থিক বছরের দ্বিতীরার্ধে সেই হার কিছুটা উর্ধ্বমুখী হবে।
গোটা পৃথিবীতে আর্থিক কর্মকাণ্ড থমকে গিয়েছে
গোটা পৃথিবীতে আর্থিক কর্মকাণ্ড থমকে গিয়েছে। দেখা দিয়েছে বিশ্ব মন্দা। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যে বড় ধাক্কা লেগেছে তার মোকাবিলায় ২০ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপের সহায়ক আর্থিক পরিবেশ গড়ে তুলতে বেশ কয়েকটি ঘওষণা করেছিলেন আরবিআই গভর্নরও।
ভারতের বাজেট ঘাটতি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশে উঠতে পারে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে একদিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা একেবারেই কমে গেছে, অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। চলতি ২০২১ অর্থবছরে ভারতের বাজেট ঘাটতি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশে উঠতে পারে। চলতি বাজেটে অবশ্য ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে
ভারতে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে এবং ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এগুলো অর্থনৈতিক দুর্বলতা বাড়াবে।
ব্যাকফুটে না খেলে ফ্রন্টফুটে খেলুন, করোনা ভাইরাস লকডাউন নিয়ে মোদীকে পরামর্শ রাহুলের