ভারতে করোনা ভ্যাকসিন কীভাবে দেওয়া হবে! সরকারি গাইডলাইন একনজরে
ভারতে যে করোনার ভ্যাকসিনের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে , তা আগেই জানান দিয়েছিল দেশের প্রশাসনিক তৎপরতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জানান যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ভ্যাকসিন আসবে। আর এদিন তার গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র।
কোথায় রেজিস্টার করতে হবে?
Co-WIN নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে ১২ টি ফটো দ্বারা পরিচিতি পত্রের কোনও একটি নথি জমা দিতে হবে। এরমধ্যে আধার, ভোটার কার্ড , ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, পেনশনের কাগজ ইত্যাদি তারমধ্যে থাকবে। তার দ্বারা নিজেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী প্রথম পর্বের ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম
শুধুমাত্র আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন হওয়া মানুষদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিনেশনের জায়গায় তৎক্ষণাৎ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না।
এলাকাভিত্তিক ভ্যাকসিনের নিয়ম
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন রয়েছে। ফলে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ, স্থানীয় প্রশাসন জনে জেলাভিত্তিক কর্মসূচি নেয়। সেক্ষেত্রে একটি ব্র্যান্ডের ভ্যাকসিন বেছে নিয়ে পুরো জেলাকেই সেই ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। যতক্ষণনা গ্রাহক সেন্টারে আসছেন ততক্ষণ, তাঁকে প্রদেয় ভ্যাকসিনের সিল বন্ধ থাকবে।
সেন্টারে ভিড় ও কিছু বিধি
সরকার জানিয়েছে, যদি ভ্যাকসিন সেন্টারে ভিড় সামলানোর প্রয়োজন হয়, বা মানুষের যথেষ্ট বসার জায়গা থাকে, তাহলে সেই সেন্টারে একজন বাড়তি ভ্যাকসিন অফিসার নিয়োগ হবে। সঙ্গে একটি সেশনে ২০০ জনকে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।
ভ্যাকসিন ও বয়স
জানানো হয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন প্রথম পর্যায়ে তাঁদের মধ্যে আগেই রয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মী থেকে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা। এদিকে, ৫০ বছরের উর্ধে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬০ বছরের উর্ধের মানুষকে আগে ভ্যাকসিন, ও কো মর্বিডিটি কেস অনুযায়ী বিচার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।