বেআইনি নির্মাণ, জাতীয় সড়কে খোঁড়া হচ্ছে কুঁয়ো, কৃষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর হরিয়ানা পুলিশের
বেআইনি নির্মাণ, জাতীয় সড়কে খোঁড়া হচ্ছে কুঁয়ো, কৃষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর হরিয়ানা পুলিশের
সরকারের কৃষি আইনের বিপক্ষে লাগাতার কৃষকদের প্রতিবাদ চলছে দিল্লির সিংঘু সহ বিভিন্ন সীমান্তে। দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় কৃষকরা খোলা আকাশের নীচে বসে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছেন। সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পরও সেভাবে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এরই মধ্যে টিকরি সীমান্তের পাশেই পাকা বাড়ি তৈরি করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। এখানেই শেষ নয়, ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সিংঘুর দিকে আসা কুণ্ডলিতে কৃষকরা গভীর পাতকুঁয়ো খুঁড়ছেন ও স্থায়ী নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। যার জেরে কৃষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে হরিয়ানা পুলিশ।
প্রথম অভিযোগ
দিল্লি সংলগ্ন সিংঘু সীমান্তের প্রতিবাদ স্থানে শত শত কৃষক জমায়েত হয়েছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশ কৃষকদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করেছে। প্রথম মামলাটি জাতীয় মহাসড়ক আইন এবং ২৮৩ ও ৪৩১ আইপিসি ধারায় দায়ের হয়েছে, অভিযোগ করেছেন এনএইচএআই প্রজেক্ট ডিরেক্টর আনন্দ শর্মা। অভিযোগকারী জানিয়েছেন যে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মালওয়া মোটরসের সামনে বেআইনি নির্মাণ করছিলেন, যার জন্য এনএইচ-৪৪ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তিনি পুলিশকে বেআইনি নির্মাণের ছবি পাঠিয়েছেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ
দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের হয়েছে জাতীয় মহাসড়ক আইন এবং আইপিসি ১৮৮ ধারায়, অভিযোগকারীর নাম পবন কুমার, যিনি কুণ্ডলীর মিউনিসিপ্যাল কমিটির সেক্রেটারি। তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ভাতিণ্ডার কৃষক করম সিং ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন কেএফসি মলের কাছে এক মাঠে পাতকুঁয়ো খুঁড়ছিলেন। মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়াররা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি কুঁয়ো খোঁড়া থামাননা। বিকেইউয়ের (লাখোওয়াল) সাধারণ সম্পাদক হরিন্দর সিং লাখোয়াল বলেন, 'আমরা কোনও স্থায়ী কাঠামো তৈরি করছি না। আমরা সোলার প্যানেল তৈরি করার পরিকল্পনা করছি কৃষকদের গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে।'
সিংঘু সীমান্তে চলছে নির্মাণকাজ
সিংঘু সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নির্মাণ কাজ করতে দেখা গিয়েছে। সীমান্তে তৈরি হয়েছে চারটি দোতলা বাড়ি। রাজমিস্ত্রিরা পাঞ্জাব থেকে এসেছেন। সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুরের প্রতিবাদ স্থানে কৃষকদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে কারণ অনেকেই ফসল কাটার জন্য নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন।
ফসল কাটা অগ্রাধিকার
বিকেইউয়ের এক সদস্য বলেন, 'অনেকেই গ্রামে ফিরে গিয়েছেন, প্রধান কারণ হল ফসল কাটার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি আমরা ফসল না কাটি তবে এই প্রতিবাদের কোনও অর্থ নেই, তাই এটা আমাদের অগ্রাধিকার। কিন্তু হোলির পর প্রতিবাদ স্থানে ফের ভিড় দেখা দেবে।' মাসের শেষে হোলি উৎসবে 'হোলিকা দহন'-এর জন্য ছোট কাঠের চিতা তৈরি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
নন্দীগ্রাম দিবসে মমতা দিলেন বড় বার্তা, ইস্তেহার প্রকাশ ঘিরে এখনও জল্পনার পারদ চরমে