রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা সন্তোষজনক! ১০০ ঘন্টা পর অবশেষে উঠল অবরোধ
টানা ১০০ ঘন্টা! স্তব্ধ হয়ে পড়ে রাজ্যের একাংশ। এমনকি বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচলও। অবশেষে কাটল জট। ১০০ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার কুর্মি সম্প্রদায়ের। পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে লাগাতার রেল অবরো
টানা ১০০ ঘন্টা! স্তব্ধ হয়ে পড়ে রাজ্যের একাংশ। এমনকি বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচলও। অবশেষে কাটল জট। ১০০ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার কুর্মি সম্প্রদায়ের। পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে লাগাতার রেল অবরোধ চলছিল। একই সঙ্গে দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল জাতীয় সড়কও।
সেখান থেকেও অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে চলেছে পরিস্থিতি। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
বৈঠকে বসেন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা
টানা পাঁচদিন ধরে টানা আন্দোলন। বিক্ষোভ-অবরোধ। যদিও সমস্যা মেটাতে শুক্রবারই আন্দোলনকারীদের ডাকা হয় রাজ্যের তরফে। কিন্তু বৈঠকে যাবে না বলে জানানো হয়। কিন্ত্য আজ শনিবার ফের একবার বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। একেবারে তিন জেলার জেলাশাসক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরাও। যেখানে সিআরআই-এর চিঠিতে যে ভুল ছিল তা সংশোধন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও দীর্ঘ আলোচনাতে একাধিক বিষয় উঠে আসে। এরপরেই অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্পষ্ট হুঁশিয়ারি অজিতপ্রসাদ মাহাতো।
বৈঠকের পর কুড়মি সমাজের মূল নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানিয়েছেন, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। ভুল করে পুরানো চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথাও জানান অজিত প্রসাদ মাহাতো। তাঁর দাবি, আন্দোলনের বিষয়ে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল। পাঁচদিন আন্দোলন চলেছে। উৎসবের কথা ভেবে বিক্ষোভ-অবরোধ তুলে নেওয়া হল বলেও জানিয়েছেন আদিবাসী নেতা। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি থাকবে। এমনকি দাবি মানা না হলেও ফের আন্দোলন শুরু হবে বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি অজিতপ্রসাদ মাহাতো।
স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কুর্মি
বলে রাখা প্রয়োজন, তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কুর্মি এবং আদিবাসী সমাজ। গত পাঁচদিন ধরে চলে এই অবরোধ-বিক্ষোভ। সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এই অবরোধের তীব্র িনন্দা করেছেন এবং তিনি অভিযোগ করেছেন এই আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। তাঁরাই মদত দিচ্ছে কুড়মিদের অবরোধকে। পালটা দিয়েছে শাসকদলও। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের কারনেই এই ঘটনা। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল বলেও জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। অবশেষে দীর্ঘ আলোচনার পর উঠল ১০০ ঘন্টার অবরোধ।
স্বাভাবিকের পথে রেল
দীর্ঘ ১০০ ঘন্টা ধরে রেল অবরোধ। যার জেরে একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। এমনকি আটকে যায় একাধিক মালগাড়ি। গত পাঁচদিনে ২৫০ এরও বেশি ট্রেন বাতিল হয়। এমনকি আজ শনিবারও একাধিক রেল বাতিল হয়। ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এই অবস্থায় আন্দোলন প্রত্যাহার। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।