লকডাউন উঠলে কোন কোন পরিবর্তন আসতে পারে! জেনে নিন একনজরে
লকডাউন শেষ হয়ে গেলে ৭০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয় গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষ বাস, ট্রেন, ট্রাম, মেট্রো সহ একাধিক গণপরিবহন এড়িয়ে যেতে পারেন। একইসাথে ৬২ শতাংশ ভারতীয় অ্যাপ-ক্যাবের আওতায় ওলা-উবার পরিষেবার এড়িয়ে চলতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
মানুষের যাতায়াত কমবে শপিং মল গুলিতে
একইসাথে ৭১ শতাংশ মানুষ শপিং মল এবং সুপার মার্কেট গুলিতে কেনাকাটার পরিমাণ কমাবেন বলে মনে করছেন। অন্যদিকে ৮০ শতাংশ বলছেন তারা অনলাইনে কেনাকাটা চালিয়ে যাবেন। সম্প্রতি বাজার গবেষণা ও বিশ্লেষণ সংস্থা ভেলোসিটি এমআর-র একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
বেকারত্ব বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ৫০ শতাংশ মানুষ
অন্যদিকে ভারতের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মানুষ মানুষ মহামারি পরবর্তী সময়ে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন। তার অন্যতম কারণ হিসাবে বেসসরকারী ক্ষেত্রে ৫৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চাকরির সুরক্ষার অভাবের কথা সামনে এনেছেন অনেকে। যার মূল কারণ আবার এই চলমান মহামারিই।
অন্য ক্ষেত্রের থেকে বিনিয়োগ বাড়বে মিউচুয়াল ফান্ডে
এদিকে ভেলোসিটি এমআর-র সিইও বলেন, " আমাদের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ৪৭ শতাংশ মানুষ মিউচুয়াল ফান্ড গুলিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। একইসাথে শেয়ার বা স্টাক মার্কেটে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন ৩৩ শতাংশ মানুষ। সোনা কেনার পরিকল্পনা করছেন প্রায় ৩০ শতাং মানুষ।"
লকডাউন পরবর্তী সময়ে জোয়ার আসতে পারে ডিজিট্যাল পেমেন্ট ব্যবস্থায়
এই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে চান। পাশাপাশি মহামারী শেষ হওয়ার পরেও সামাজিক স্তরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসাবে কিছু সময় অন্তর নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার চালিয়ে যেতে চাইছেন প্রায় ৫৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে লকডাউন উঠে গেলে ব্যাঙ্কে অনলাইন লেনদেন বহুল পরিমাণে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ মানুষই এরপর নগদের পরিবর্তে ডিজিট্যাল পেমেন্ড় ব্যবহার করতে চাইছেন বলে জানা যাচ্ছে।