দিল্লিতে ফের নামছে ফেয়ারি কুইন, পর্যটকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি
বিশ্বের সব থেকে পুরনো বাষ্পচালিত ইঞ্জিন 'ফেয়ারি কুইন' ফের কাজ শুরু করল শনিবার থেকে। দেশের রাজধানী শহর থেকে হেরিটেজ ট্রেন নিয়ে যাবে এই ইঞ্জিন।
বিশ্বের সব থেকে পুরনো বাষ্পচালিত ইঞ্জিন 'ফেয়ারি কুইন' ফের কাজ শুরু করল শনিবার থেকে। দেশের রাজধানী শহর থেকে হেরিটেজ ট্রেন নিয়ে যাবে এই ইঞ্জিন।
ফেয়ারি কুইন
১৬২ বছরের পুরনো এই লোকোমেটিভ পর্যটকদের নিয়ে যাবে পর্যটকদের। মাসে একবার দ্য স্টিম এক্সপ্রেস চলবে দিল্লি থেকে আলোয়ার ভায়া রেওয়ারি হয়ে।
বিশ্বের যাঁরা বাষ্পচালিত ইঞ্জিন প্রেমী তাঁদের কাছে এই ইঞ্জিন খুবই জনপ্রিয়। অক্টোবর থেকে মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এবং রেওয়ারির মধ্যে এই ট্রেন চলবে। এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত যা চালু থাকবে।
সময় এবং ক্ষমতা
পর্যটকদের রেওয়ারি স্টিম সেন্টার ঘুরে দেখার ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া হবে। ভারতীয় রেলের অধীন এই সেন্টারে ১০ টি স্টিম লোকোমেটিভ রয়েছে এখানে এবং এটিই একমাত্রা কার্যকরী স্টিম লোকোমেটিভ। তিন ঘণ্টা পর ৪.১৫-এ রেওয়ারি ছাড়বে ট্রেনটি এবং দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছবে সন্ধে ৬.১৫-এ।
ট্রেনটির বহন ক্ষমতা ৬০ জন। টিকিট বুক করা যায় আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এছাড়াও আইআরসিটিসি সেন্টারগুলির মাধ্যমেও টিকিট বুক করা যায়।
সারা বছর ধরেই ভারতীয় রেল স্টিম ইঞ্জিন পর্যটনের জন্য প্রচার করে থাকে।
১৬২ বছরের পুরনো
১৮৫৫ সালে ইংল্যান্ডে তৈরি হয়েছিল এই স্টিম ইঞ্জিন। তৈরি করেছিলেন কিটসন, থম্পসন এবং হিউইটসন। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির এই ইঞ্জিন ওই বছরেই ভারতে আসে। ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত ইঞ্জিনটির পরিচয় ছিল ২২ নম্বর হিসেবে। হাওড়া থেকে রানিগঞ্জের মধ্যে এই ট্রেন চালাত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশ সেনাদের নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপরে ইঞ্জিনটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিহারে। এরপর ১৯০৯ সালে প্রতিদিনের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ইঞ্জিনটিকে।
১৯৭৭ সালে ফের চালু করা হয় এই ইঞ্জিন। সেই সময় থেকে দিল্লির চাণক্যপুরীর ন্যাশনাল রেল মিউজিয়ামে ইঞ্জিনটিকে রাখা হয়।
গিনেস রেকর্ড
১৯৯৮ সালে গিনেস বুকে নাম ওঠে এই ইঞ্জিনের। কার্যকরী অবস্থায় থাকা বিশ্বের সব থেকে পুরনো স্টিম লোকোমেটিভ হিসেবে। এরপরেই এই ট্রেনটি ন্যাশনাল টুরিজম অ্যাওয়ার্ড পায়।