জানেন কীভাবে whatsApp-এ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য থেকে ছবি'র উপর চলছে নজরদারি? বিস্তারিত জানলে ঘুম উড়বেই
Propublica এর তরফে সামনে আসা এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপে করা সমস্ত ব্যাক্তিগত তথ্য পড়তে এবং শেয়ার পর্যন্ত করতে পারে। ফাঁস হওয়া রিপোর্টে জানেন ওই সংস্থার তরফে আরও কি জানানো হচ্ছে?
বিশ্বের সবথেকে সুরক্ষিত মেসেঞ্জিং অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ। এমনটাই দাবি করা হয়। কিন্তু সত্যিই কি সুরক্ষিত এই অ্যাপ? বারবার এহেন প্রশ্ন ওঠে।
যদিও বারবার হোয়াটস অ্যাপের তরফে দাবি করা হয়েছে যে তাঁদের অ্যাপ এতটাই সুরক্ষি যে ব্যবহারকারীর চ্যাট পড়ার ক্ষমতা কোম্পানির পর্যন্ত নেই। তবে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে।
যাতে ঘুম পর্যন্ত উড়তে পারে ব্যবহারকারীদের। এমনকি এই রিপোর্ট হোয়াটস অ্যাপের দাবি খারিজ করছে।
Propublica এর তরফে সামনে আসা এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপে করা সমস্ত ব্যাক্তিগত তথ্য পড়তে এবং শেয়ার পর্যন্ত করতে পারে। ফাঁস হওয়া রিপোর্টে জানেন ওই সংস্থার তরফে আরও কি জানানো হচ্ছে?
প্রতি মুহূর্তে ট্র্যাক হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য!
রিপোর্ট বলছে হোয়াটস অ্যাপ কয়েক হাজার লোককে চুক্তিভিক্তিক ভাবে নিয়োগ করেছে। ওই সমস্ত লোক আস্টিন, টেক্সাস , ডবলিন এবং সিঙ্গাপুরের অফিসে বসে কাজ করে। এই সমস্ত ওই সমস্ত অফিসে বসে হোয়াটস অ্যাপের সমস্ত তথ্য যাচাই করে। এই সমস্ত কর্মচারী ফেসবুকে ব্যবহৃত সফটওয়্যারকে ব্যবহার করে ব্যবহারীর সমস্ত তথ্য, প্রাইভেট মেসেজ, ছবি এবং পাঠানো ভিডিও পর্যন্ত পড়তে পারে। এই কাজের জন্যে ওই সমস্ত কর্মীদের বেতন পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
এই রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে
হোয়াটস অ্যাপে বহু গ্রাহক সাইন আপ করে থাকে। তবে সংস্থার দাবি ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য সুনিশ্চিত রয়েছে। সংস্থার তর৪ফে দাবি করা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের ্যক্তিগত তথ্য হোয়াটস অ্যাপে এতটাই সুরক্ষিত থাকে যে সংস্থার কর্মচারীদের পক্ষেও সেই চ্যাট পড়ার ক্ষমতা নেই।
যদিও হোয়াটসঅ্যাপের এই সমস্ত তথ্য ওই রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে । তাঁদের পাল্টা দাবি, সবার নজর এড়িয়ে কার্যত ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য পড়ে ফেলছে হোয়াটস অ্যাপ। তবে ফেসবুকের তরফেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
Whatsapp এর তরফে এই বিষয়ে আরও কি বলা হচ্ছে
এই তথ্য সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে Whatsapp। সংস্থার Direct of Communications এর এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অফিসে বসে এই সমস্ত কর্মীরা কাজ করে থাকে। হোয়াটস মেসেজে যে সমস্ত ব্যবহারকারী খারাপ ব্যাবহার করছে কিংবা পলিসিকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে তাঁদের চিহ্নিত করতে এই কর্মীরা কাজ করে থাকে। ওই সমস্ত প্রোগফাইলকে চিহ্নিত করার কাজ করে থাকে।
সংস্থার দাবি , যে সমস্ত প্রোফাইল হোয়াটস অ্যাপে অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হতে পারে সেগুলিকে ধরা এই সমস্ত কর্মীদের কাজ। যেমন হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ, পর্ণ সহ এমন কাজ চলছে যে সমস্ত প্রোফাইল থেকে সেগুলিকে দেখাই কাজ ওই সমস্ত কর্মী দের। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য পড়া হয় না।
অফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম!
হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ encrypted হয়ে থাকে। এই সমস্ত মেসেজ পড়তে হলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমের সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে। এটি যদিও একমাত্র ইনস্টগ্রাম এবং ফেসবুকের পক্ষে সম্ভব। যদি কোনও ব্যবহারকারী কোনও প্রোফাইলের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে তখন এই সিস্টেমের সাহায্যে মেসেজ এবং কণটেন্ট দেখা হয়।