কেজরিওয়ালের গ্রামে অকাল দীপাবলী
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো সিওয়ানি-ও জানত লড়াইটা সোজা নয়। কারণ, প্রতিপক্ষের নাম কংগ্রেস। তবুও একটা অসম চেষ্টা চালিয়েছিল আমআদমি পার্টি (আপ)। ভোটের ফল বেরোতে দেখা গেল, কংগ্রেস চলে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। ২৮টি আসন পেয়ে দিল্লিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেয়েছে তারা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২২ হাজার ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন শীলা দীক্ষিতকে।
সকাল থেকে টিভি-তে চোখ লাগিয়ে বসেছিল গোটা সিওয়ানি। বিকেল থেকে শুরু হয়ে যায় উৎসব। আমআদমি পার্টির স্থানীয় কর্মী মনোজ কারওয়াসরা বলেন, "আমাদের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন খুবই সাধারণ মানুষ। আমার, আপনার মতো। শুধু আদর্শকে পুঁজি করে ১৫ বছরের একটা সরকারকে ফেলে দেওয়া মামুলি কথা নয়। উনি দেখালেন, সৎ পথে থেকে লড়াই করলে কত বড়-বড় বাধাকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া যায়।" অরবিন্দের পিসিমা কুসুম কেজরিওয়াল বললেন, "২০১১ সালের ১৬ আগস্ট ছিল ওর ৪৩তম জন্মদিন। সেই দিন থেকে শুরু করেছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। আজ ওর জন্যই লোকে সিওয়ানি গ্রামের নাম জানে।"
ততক্ষণে বিপুল লোকজন এসে জড়ো হয়েছে 'নিজেদের ছেলের' বাড়ির সামনে। বাতাসে উড়ছে আবির, ফাটছে পটকা। সমস্বরে উঠছে স্লোগান, "কেজরিওয়াল হমারা হ্যায়, জি জান সে ভি প্যায়ারা হ্যায়, দিখা দিয়া অরবিন্দ মেঁ হ্যায় দম, অব সবসে আগে রহেঙ্গে হম।"