২০ বিধায়ক খুইয়ে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আপের, দিল্লিতে কি এবার পালাবদল
বিরোধীরা ইতিমধ্যে এই ২০টি আসনে উপনির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে। এমনকী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে।
লাভজনক পদে থাকার অভিযোগে দিল্লির ২০ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রত্যেকেই আম আদমি পার্টির বিধায়ক। যার ফলে নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ফের ভোটের আশঙ্কা দিল্লিতে।
এই নিয়ে দিল্লির উচ্চ আদালতে আপ বিধায়করা আপিল করেছেন। এদিন বিকালে তার শুনানি হওয়ার কথা। যদি সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে আপ।
বিরোধীরা ইতিমধ্যে এই ২০টি আসনে উপনির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে। এমনকী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে।
আপ সূত্রে খবর, দলের ২০জন বিধায়ককে নার্ভাস না হতে বলেছেন কেজরি। নির্বাচন হলে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লি পুরসভার কাজকর্মের বিরুদ্ধে ও খুচরো ব্যবসায় ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে বনধ ডেকেছে আপ।
সংসদীয় সচিব হিসাবে কাজ করার অভিযোগে আপ বিধায়কদের বরখাস্ত করা হয়েছে। আপের দাবি বিধায়কেরা সেই কাজের জন্য টাকা নেননি। ফলে লাভজনক পদে থাকার প্রশ্ন এক্ষেত্রে খাটে না। হিমাচলপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও গোয়ায় এভাবে অনেকেই কাজ করেছেন। তাদের বিধায়কপদ খারিজ হয়নি। তাহলে আপের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেন? তা নিয়ে সরব আম আদমি পার্টি।
ঘটনা হল দিল্লির মোট ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আপের দখলে রয়েছে ৬৫টি আসন। ফলে নির্বাচন হলেও যদি ধরে নেওয়া যায় আপ সবকটি আসনে হেরে যাবে, তাহলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকার পড়বে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।